০৯ আগস্ট, ২০১৯ ২৩:২৮
কবিগুরুর ৭৮ তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বিকাল ৪ টায় শ্রুতি সিলেট'র পুরানলেনস্থ কার্যালয়ে আয়োজন করা হয় "সমুখে শান্তি পারাবার" শীর্ষক আয়োজনের।
অত্রি ভট্টাচার্য'র পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য এবং "আমার রবীন্দ্রনাথ " শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন শ্রুতি সদস্যসচিব সুকান্ত গুপ্ত।
তিনি বলেন- বাঙালি সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রভাব সুদূর প্রসারী। সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যেখানে কবিগুরুর ছোঁয়া লাগেনি। তাঁর কবিতা, গান, সাহিত্যের অন্যান্য শাখার লেখনী মানুষকে আজো সেই অন্বেষণের পথে আকর্ষণ করে। আমাদের মন-মানসিকতা গঠনের, চেতনার উন্মেষের প্রধান অবলম্বন রবীন্দ্রনাথ। আলোচনা সভায় আরো অংশ নেন শ্রুতি সমন্বয়ক সুমন্ত গুপ্ত,শ্রাবণ আচার্য্য, সন্দীপ রায়,সৃজন দাশ, সুস্মিতা ভট্টাচার্য্য,অনিক দেবনাথ,কৃপাদাশ প্রমুখ। আলোচনা সভায় বক্তারা আরো বলেন-কবিগুরুর প্রিয় ঋতু ছিল বর্ষা। অজস্র রচনায় বাংলার বর্ষাকে তিনি অনিন্দ্যসৌন্দর্যে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে প্রিয় ঋতুতেই নির্বাপিত হয়েছিল কবির জীবনপ্রদীপ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রবির কিরণের মতোই আপন প্রতিভার আলোয় বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে উদ্ভাসিত করেছিলেন। প্রায় একক প্রতিভায় তিনি বাংলা সাহিত্যকে পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বসাহিত্যের মর্যাদাপূর্ণ আসনে। কাব্য, সংগীত, উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনি, শিশুতোষ রচনাসহ সাহিত্যের প্রতিটি শাখা তাঁর প্রতিভার স্পর্শে দীপ্তিমান হয়ে উঠেছিল। তাঁর বৈচিত্র্যময় রচনাসম্ভার মহৎ মানবিক আবেদনের মহিমায় হয়ে উঠেছে কালজয়ী। ১৯১৩ সালে প্রথম বাঙালি হিসেবে তিনি লাভ করেন নোবেল পুরস্কার।
জীবনের শেষ পর্যায়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গভীর আগ্রহে চিত্রকলার চর্চা শুরু করেন। তাঁর এসব কাজ ভারতীয় উপমহাদেশের শিল্পকলায় ভিন্ন মাত্রা সংযোজন করেছে। সাহিত্যকর্মের পাশাপাশি সমাজসংস্কার, শিক্ষাবিস্তার, কৃষি উন্নয়নসহ বিভিন্ন কর্মে নিজেকে জীবনব্যাপী সক্রিয় রেখে এক অনন্যদৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তিনি।
গান কবিতা এবং কথামালায় স্মরণ করা হয় কবিগুরুকে। এতে অংশ নেয় অর্চিতা ভট্টাচার্য্য,চপল কুন্ডু, স্রোতস্বিনী স্নেহা, শ্রেয়া কুন্ডু, তাবাস্সুম জান্নাত,মিফতাউল জান্নাত ইশা, অধরা দাশ শশী প্রমুখ।
আপনার মন্তব্য