নিজস্ব প্রতিবেদক

৩১ জানুয়ারি, ২০১৫ ২২:৩০

ইয়াং বাংলার সিলেট বিভাগীয় সম্মেলন সম্পন্ন

সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা তরুণ উদ্যোক্তা ও মেধাবীমুখ একিভূত করতে শুরু হয়েছে ‘ইয়াং বাংলা ডিভিশনাল মিট’। শনিবার বিকেলে সিলেট এমসি কলেজ হোস্টেল মাঠে হাজারো তরুণের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় সিলেট বিভাগীয় সম্মেলন। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সম্মেলনের পুরোটাই ছিল দেশ নিয়ে তারুণ্যের স্বপ্ন ও সম্ভাবনার জয়গান। 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই মঞ্চে ওঠেন ‘ইয়াং বাংলা’র আহবায়ক ও জাতীয় সংসদের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক। উপস্থিত তরুণ-তরুণীদের কাছে তুলে ধরেন ইয়াং বাংলার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য। ‘জয় বাংলা’কে তারুণ্যের শক্তি আখ্যায়িত করে তিনি বলেন- এই শ্লোগানেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ কোটি মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে এবার একই শ্লোগানে দেশের তারুণ্যকে জাগিয়ে তুলতে হবে। দেশ ও মানুষকে ভালোবাসতে হলে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানকে বুকে ধারণ ও লালন করতে হবে।

দুইপর্বের অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবন ও সংগঠনের কার্যক্রম তুলে ধরেন। রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে তারা ব্যক্ত করেন নিজস্ব চিন্তা-ভাবনার কথা। সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে তরুণ সমাজের পাশে সরকারকে দাঁড়ানোর আহবান জানান তারা। তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন ও সহজলভ্যতার জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এমসি কলেজের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম শাহী বলেন- সরকারের তারুণ্যবান্ধব এ মনোভাব অব্যাহত থাকলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন দ্রুততম সময়েই সম্ভব।

অনুষ্ঠানে এসে নিজেদের স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রোবো সাস্ট’র সংগঠকরা। তারা স্বপ্ন দেখছেন একদিন শিল্প কারখানায় ভারি কাজে সহযোগিতা করবে তাদের উদ্ভাবিত রোবট। দেশ নিয়ে একইভাবে তাদের স্বপ্নের কথা বলেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক্যাম সাস্ট’, ‘থ্রিপল-ই সাস্ট’ ও ‘সেফটি রিভার জার্নি’ নামের সংগঠনগুলো।

অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে তরুণ শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের কথা শোনার পাশাপাশি দেশ নিয়ে নিজের ভাবনার কথাও তুলে ধরেন নাহিম রাজ্জাক এমপি। তার তারুণ্যনির্ভর স্বাপ্নিক কথাবার্তায় মোহিত হন উপস্থিত সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা। 

সম্মেলনে সফল তরুণদের বায়োডাটা ও প্রকল্প জমা নেওয়া হয়। আগামী ৭ মার্চ ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে ‘ইয়াং বাংলা’র জাতীয় সম্মেলনে ৩৫০ জন তরুণকে সম্মাননা প্রদান করা হবে। এছাড়াও মেধাবী পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীকে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ, তথ্য ও প্রযুক্তি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিন মাসের ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেয়া হবে।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাইমুজ্জামান মুক্তা, সাংসদ এড. আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন, জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আকমল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদির আহমদ মুক্তা, জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা অসিত বরণ দাশগুপ্ত, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগনেতা সৈয়দ আমিনুল ইসলাম সাজি, আওয়ামীলীগ নেতা জাবেদ সিরাজ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ, সাধারণ সম্পাদক এম. রায়হান চৌধুরী, ছাত্রলীগ নেতা- রশিদ ইসলাম, রশিদুল ইসলাম রাশেদ, ফজলুর রহমান জসীম প্রমুখ।





আপনার মন্তব্য

আলোচিত