নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ এপ্রিল, ২০২২ ০১:৩২

নতুন উদ্যমে যাত্রা শুরুর ঘোষণা সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির

সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এখন নতুন উদ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। নানা কারনে দীর্ঘদিন যাবত ইউজিসি কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের পাশে  ‘টু স্টার’ কিংবা ভর্তি সতর্কতা থাকলেও সম্প্রতি ইউজিসি এ সতর্কতা তুলে নিয়েছে।

নগরীর নিজস্ব ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এখন থেকে ভর্তি হতে পারবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। করোনাকালীন নানা স্থিতাবস্থা কাটিয়ে কর্মচাঞ্চল্যে ফিরে আসছে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠান। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার থেকে শুরু হয়েছে বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভর্তি সপ্তাহ। এ সপ্তাহের আওতায় আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হলে বিশেষ সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যকেন্দ্র।

শনিবার ক্যাম্পাসে স্থানীয় প্রতিনিধিত্বশীল সাংবাদিকদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রাজীব আহমেদ। তিনি জানান, নিয়মিত ক্লাস, পরীক্ষার পাশাপাশি চলছে সহশিক্ষা কার্যক্রমও। প্রচার প্রচারণায়ও পিছিয়ে নেই বিশ্ববিদ্যালয়। একইসাথে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় এখন মুখর নগরীর বাগবাড়ীস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। প্রতিদিন কোনো না কোনো বিভাগের আয়োজনে ব্যস্ত থাকছে ক্যম্পাস।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রণবকান্তি দেবের সঞ্চাললায় মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শহীদ উল্লাহ তালুকদার, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আহমদ, প্রস্তাবিত কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর নিতাই চন্দ্র চন্দ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সাহিদা ইয়াসমীন চৌধুরী। ।

মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, গত ১-২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তকলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতা। এর আগে গত ২৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় স্বাধীনতা দিবস কুইজ অনুষ্ঠান। ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে ভর্তি তথ্য মেলাও। সব মিলিয়ে সরগরম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ। জানা গেছে, প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই ইউ জি সির নিয়ম অনুযায়ী ২ সেমিস্টারে শিক্ষা-কার্যক্রম পরিচালনা করে আসা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন,ব্যবসায় প্রশাসন, ইংরেজি, ইসিই এবং কম্পিউটার সায়েন্স-এই ৫ টি বিভাগে শিক্ষার্থীরা স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি হতে পারেন। এছাড়া ইংরেজি, বিবিএ এবং আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের জন্য ৩ বছর মেয়াদি বৈকালিক বি.এস.সি কোর্স চালু রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় গোটা বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে কম খরচে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে এখানে। পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমেরও রয়েছে সমান সুযোগ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে দেশে বিদেশে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত আমেরিকান দূতাবাস পরিচালিত রিসোর্স সেন্টার ‘আমেরিকান কর্ণার’ শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় সহায়তাসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে। অতীতের সকল সংকট কাটিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। সবার সহযোগিতা পেলে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হবে ‘সেন্টার অব এক্সেলেন্স’। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহযোগিতা কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রাজীব আহমেদ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন শিগগিরই আয়োজনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। এ ব্যাপারে ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সব মিলিয়ে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষাবিদসহ অভিভাবকদের প্রত্যাশা, সময়ের চাহিদা পূরণ করে একবিংশ শতাব্দীর যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থী তৈরি করতে সক্ষম হবে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত