সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

১২ জুন, ২০২৩ ২২:২১

মাছের রোগ নির্ণয় ও প্রেসক্রিপশন বিষয়ক নতুন নীতির প্রতিবাদে সিকৃবিতে মানববন্ধন

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী মাছের রোগ নির্ণয় ও প্রেসক্রিপশন প্রদানে ভেটেরিনারি এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সাইন্স অনুষদের নিবন্ধিত গ্র্যাজুয়েটদের আইনি বৈধতা দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ছাত্র-ছাত্রীরা।

সোমবার (১২ জুন) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ছাত্র সমিতির আয়োজনে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন, শিক্ষকমন্ডলীসহ বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সকল ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ নতুন এই নীতিমালার তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অতিদ্রুত এই নীতিমালার সংশোধন করে মাছের রোগ নির্ণয় ও প্রেসক্রিপশন প্রদানে ভেটেরিনারি গ্র্যাজুয়েটদের পরিবর্তে মাৎস্যবিজ্ঞান গ্র্যাজুয়েটদের স্থলাভিষিক্ত করার পাশাপাশি ফিশারিজ কাউন্সিল তৈরির জোর দাবি জানান।

এসময় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড বলেন, "World Organisation of Animal Health, সংস্থা কর্তৃক আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত রয়েছে যে জলজ প্রাণিদের ভেটেরিনারি নিবন্ধিত গ্র্যাজুয়েট এবং একুয়াটিক এনিমেল হ্যালথ প্রফেশনাল উভয়ই রোগ নির্ণয় ও প্রেসক্রিপশন প্রদান করতে পারবেন। অথচ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী তারা একুয়াটিক এনিমেল হেলথ প্রফেশনালদের বাদ দিয়ে শুধু ভেটেরিনারি গ্র্যাজুয়েটদের মাছের চিকিৎসা করার ব্যাপারে নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন। আমরা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সকল শিক্ষক আমাদের শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করছি।"

আপনার মন্তব্য

আলোচিত