শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

০২ মার্চ, ২০২৪ ২২:৩২

আজকের ফাইল কালকের জন্য ফেলে রাখার সুযোগ নেই: উপাচার্য

নিয়মের মধ্যে থেকে দিনের কাজ দিনে করতে হবে, একদিনের কাজ পরবর্তী দিনের জন্য ফেলে রাখার সুযোগ নেই, সময়ানুবর্তিতার ক্ষেত্রেও কোন ছাড় নেই বলে জানিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

শনিবার (২ মার্চ)  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা বিষয়ক কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন উপাচার্য।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি  বলেন, সবাই মনে করে,  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা যা খুশি তাই করতে পারে, আসলে তা কিন্তু না। আমাদের নিয়মনীতি মেনে চলতে হয়, জবাবদিহিতার মধ্যে থাকতে হয়।  তবে আমাদের সচেতন থেকে প্রত্যেকের নিজের দায়িত্বটা যথাসময়ে পালন করা উচিত। এক্ষেত্রে আজকের কাজ কালকের জন্য ফেলে রাখা যাবে না। বর্তমানে আমাদের  বিশ্ববিদ্যালয়ে শতভাগ সুশাসন ও জবাবদিহিতা রয়েছে। কাজের ক্ষেত্রে ও অফিস করার ক্ষেত্রে সবাইকে  বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম ও সময়ানুবর্তিতা মেনে চলতে হবে, এক্ষেত্রে কাউকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।

অভিযোগ প্রতিকারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেক দপ্তরে সিটিজেন চার্টার দেওয়া আছে, সে অনুযায়ী অভিযোগগুলো শুনতে হবে, এর সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ইচ্ছে করে চাইলেই কোন কাজ ফেলে রাখা যাবে না। সারাবছর আমরা যা কাজ করি বছর শেষে তার ফিডব্যাক পাওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ কর তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষা গবেষণা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সমান্তরালে এগিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি একটি স্মার্ট  বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হতে যা করা প্রয়োজন আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ফি পরিশোধ, ই-সার্টিফিকেট উত্তোলন, আবেদন, ক্লাসে প্রবেশ, হলে প্রবেশ সবকিছুই ডিজিটালি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মেয়েদের হলে প্রবেশের ক্ষেত্রে ফিংগার, ফেস রিকগনিশন নিশ্চিত করা হয়েছে। আগামীতে অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতেও তা নিশ্চিত করা হবে। এখন আমাদের পরীক্ষা ফলাফলও দ্রুত সময়ের মধ্যে হয়ে যায়, যার ফলে শিক্ষার্থীদের দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয় না।

দাপ্তরিক কাজের কথা উল্লেক করে তিনি বলেন, এ  বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে ফাঁকি দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। এতে সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে, আজকের ফাইল কালকের জন্য ফেলে রাখা যাবে না। ইচ্ছে করে অফিসে দেরি করে আসা যাবে না। ফিংগার দিয়ে অফিসে প্রবেশ করতে হবে। ফলে এর উপর ভিত্তি করে বেতনভাতা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করার মাধ্যমে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠিত হয়। কর্মকর্তারা আমাদের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির অন্যতম চালিকাশক্তি, আপনাদের কাজের দক্ষতার উপরই আমাদের সফলতা নির্ভর করছে। আপনাদের কাজ ও প্রচেষ্টায় গতবার আমরা এপিএতে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছি।  তবে এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। পরিশেষে বিশ্ববিদ্যারয়কে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

কর্মশালায় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার শাহিনা সোলতানার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন। কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ফজলুর রহমান, পাবলিক  বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ পরিচালক ও  বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার ফোকাল পয়েন্ট মৌলি আজাদ উপস্থিত ছিলেন। এই কর্মশালায় বিভিন্ন দপ্তরের ৭০ জনের অধিক কর্মকর্তা অংশ নেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত