শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

০৫ মার্চ, ২০২৪ ১৭:৫১

শাবি প্রেসক্লাব’র বার্ষিক ম্যাগাজিন 'কথন-৪' এর মোড়ক উন্মোচন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন 'শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব'র ১৯তম কার্যকরী পরিষদের বার্ষিক ম্যাগাজিন 'কথন-৪' এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

সোমবার (৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে এ মোড়ক উন্মোচন করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।  

এসময় শাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম রুদ্রের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হাসান নাঈমের সঞ্চালনায় গেস্ট অব অনার ও চীফ এডভাইজার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে শাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসিনা বেগম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এতে কী-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক 'আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান।

মোড়ক উন্মোচনের আগে সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান বলেন, আমরা সিলেট সিটি কর্পোরেশনকে রাজশাহী থেকেও গ্রিন, ক্লিন ও স্মার্ট শহর হিসেবে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করছি। আর এ স্লোগানে ক্যাম্পাসগুলোর মধ্যে অন্যতম উদাহরণ শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়।

তিনি বলেন, সাংবাদিকরা আমাদের সমাজের দর্পণ, আপনারা আমাদের বুদ্ধি ও পরামর্শ দেবেন, আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করবো। এ প্রক্রিয়ায় উন্নয়নের ভারসাম্য বজায় থাকে। তবে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের সামনে নিয়ে আসতে আপনাদের (সাংবাদিক) অগ্রবর্তী ভ‚মিকা পালন করতে হবে।  

আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান বলেন, সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মূল কারিগর সাংবাদিকরা। আমাদের দেশের উন্নয়নশীল দেশকে উন্নতির জন্য সংবাদ উপস্থাপন করাই হচ্ছে প্রকৃত সাংবাদিকতা। বাংলাদেশের অগ্রগতিতে সাংবাদিকদের ভ‚মিকা অনবদ্য। তাই সামাজিকভাবে সাংবাদিকদের মূল্যায়ন করা উচিত। শাহজালাল বিশ^বিদ্যালয়ের ১৮ জন সাংবাদিক দশ হাজার শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করছেন। শাবি প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা সততা ও নিষ্ঠার সাথে তাদের কথা লেখনীতে ফুটিয়ে তুলবেন সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, ছাত্র উপদেষ্টা, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, বিভাগীয় প্রধান, দপ্তর প্রধান, হল প্রভোস্ট, বিভাগের শিক্ষক, গুণীজন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, শুভাকাক্সক্ষী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক, সামাজিক, ক্যারিয়ার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত