শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

২৫ জুন, ২০২৪ ২৩:৫৭

আবারো শাবিপ্রবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি

সার্বজনীন পেনশনে প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেলের দাবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষকরা।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।

এসময় শাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর কবীরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. এস. এম. সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো: আশরাফ উদ্দিন, অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন, অধ্যাপক হিমাদ্রী শেখর রায়, অধ্যাপক ড. দীপেন দেবনাথ, অধ্যাপক ড. মো. নিজাম উদ্দিন, সহযোগী ড. সুব্রত সরকার, সহযোগী ড. শাহজাহান মিয়া, সহযোগী অধ্যাপক আফজাল হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক মনিপাল প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আধুনিক উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যখন তাদের মেধা, গবেষণা ও উদ্ভাবনী কর্মদক্ষতার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে,  তখন একটা বিশেষ মহল বিভিন্নভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একের-পর-এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। হঠাৎ করে 'প্রত্যয়' নামক সর্বজনীন পেনশন স্কীম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দেয়া তার অন্যতম উদাহরণ।

ফলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা আজ শিক্ষকতা নামক মহান পেশা থেকে দূরে সরে যাবে এবং দেশের মেধা বিদেশে পাচার হয়ে যাবে, যা আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গভীর অন্তরায় সৃষ্টি করবে এবং ভবিষ্যতে  শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ে যাওয়া হবে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। এ অবস্থা উত্তরণের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা  তাদের গৌরব ও আত্মমর্যাদার লড়াইয়ে আজ রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছে।   

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বৈষম্যমূলক সর্বজনীন পেনশন প্রত্যাহারের দাবিসহ অন্যান্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অনেক দিন-ধরেই নানা আন্দোলন কর্মসূচির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করছে কিন্তু অদ্যাবধি যথাযথ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আশানুরূপ কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি ।

তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কঠিন থেকে কঠিনতর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হচ্ছে। শিক্ষকদের মাঝে বিরাজমান উৎকন্ঠা ও অসন্তুষ্টি লাঘব করে অনতিবিলম্বে উপরি-উক্ত দাবি সমূহ বাস্তবায়ন করে দ্রুত শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সরকারের সংশ্লিষ্টমহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

উল্লেখ্য, ২৫ থেকে ২৭ জুন ৩ দিন অর্ধ দিবস কর্মসূচি, ৩০ জুন পূর্ণ দিবস কর্মসূচি এবং পহেলা জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত  সর্বাত্মক কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত