সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ জুন, ২০১৬ ০৯:২৬

একাদশে ভর্তির আবেদনের সময় শেষ, ফল ১৬ জুন

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মোট ১৩ লাখ ১ হাজার ৯৯ জন শিক্ষার্থীর আবেদন পড়েছে। কলেজে ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের ফলাফল প্রকাশ করা হবে ১৬ জুন।
 
শুক্রবার (১০ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এসব আবেদন জমা পড়েছে বলে জানান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. আশফাকুস সালেহীন।
 
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী মানজুরুল কবীর বাংলানিউজকে বলেন, এরমধ্যে অনলাইনে ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৯৪৭ এবং মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ৪ লাখ ৫ হাজার ৮৬৮ আবেদন জমা পড়েছে। অনলাইন এবং এসএমএসে মোট ৪৪ লাখ ৯২ হাজার ২২২টি আবেদন পড়েছে।
 
কিছু দ্বৈত আবেদনের কারণে মোট সংখ্যায় পার্থক্য রয়েছে বলে জানান মানজুরুল কবীর।
 
কলেজ পরিদর্শক ড. আশফাকুস সালেহীন বলেন, যারা দু’ভাবে আবেদন করেছে তাদের যেকোন একটি ধরা হবে।
 
তিনি আরও বলেন, সারা দেশে সাড়ে ১৯ লাখের বেশি আসন রয়েছে। ভর্তিতে কোনো শিক্ষার্থীর সমস্যা হবে না।
 
কলেজ পরিদর্শক জানান, বরিশালে ৬৫ হাজার ১০২, চট্টগ্রামে ১ লাখ ৭ হাজার ৩৩০, কুমিল্লায় ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৫৯, ঢাকায় ৪ লাখ ৯ হাজার ৬৭৫, দিনাজপুরে ১ লাখ ৩২ হাজার ৪৬৮, যশোরে ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৪৯, সিলেটে ৭৩ হাজার ৭১, মাদ্রাসা বোর্ডে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫৪ এবং কারিগরী বোর্ডে (বিটিটিবি) ১ লাখ ১০ হাজার ৮০৭ জন আবেদন করেছে।

এদিকে টাকা জমা দেওয়া ও আবেদনের নির্ধারিত সময় ৯ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড থাকলেও পরবর্তীতে কয়েক ধাপ বাড়িয়ে সাড়ে ৩টায় বন্ধ করা হয়।
 
আবেদনকারীদের ফলাফল বা মনোনয়ন ১৬ জুন একাদশে ভর্তির ওয়েবসাইটে (www.xiclassadmission.gov.bd) প্রকাশ করা হবে।
 
ভর্তির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, আবেদনের সময় প্রদত্ত মোবাইল ফোন নম্বরেও সংক্ষিপ্ত ফলাফল পাওয়া যাবে।  শিক্ষার্থীরা তাদের আবেদনকৃত কলেজের নোটিশ বোর্ডেও ফলাফল দেখতে পারবেন।
 
শিক্ষার্থীরা তাদের আবেদনকরা প্রতিটি কলেজে মেধা তালিকায় অথবা অপেক্ষমান তালিকায় ফলাফল পাবে। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে তাদের রোল, বোর্ড, পাসের সন ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফলাফল দেখতে পারবেন।

যে সব শিক্ষার্থী কোনো কলেজে ‘বিশেষ কোটা’র জন্য আবেদন করেছে তাদের ৯ জুনের মধ্যে উক্ত কলেজে বিশেষ কোটার কাগজপত্র দাখিল করতে হবে।
 
গত ১১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়, যাতে ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ২০১ জন অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৬০৫ জন। পাসের হার ৮৮.২৯ শতাংশ। এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬১ শিক্ষার্থী।

আবেদনকারী এবং মোট পাস করা শিক্ষার্থীর হিসাবে ১ লাখ ৫১ হাজার ৫০৬ জন শিক্ষার্থী আবেদনের বাইরে রয়ে গেল।
 
গত কয়েক বছর ধরে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি করানো হলেও এবার দ্বিতীয়বারের মতো অনলাইনে এবং এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন নিয়ে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করানো হবে।
 
 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত