নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ অক্টোবর, ২০১৬ ২২:২৯

চাকরিরত অবস্থাতেই শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পান বদরুল

সোমবার এমসি কলেজে ক্যাম্পাসে কলেজ ছাত্রী খাদিজাকে নৃশংসভাবে কোপানোর ঘটনায় হামলাকারী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের নাম গণমাধ্যমে আসার পর শাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় বদরুলের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই, বদরুল চাকরীজীবী হওয়ায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার সদস্যপদ চলে গেছে। কাজেই কারো ব্যক্তিগত অপরাধের দায় সংগঠন নেবে না।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে চাকরিরত অবস্থাতেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পান বদরুল আলম। সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার আলহাজ আয়াজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে তিন বছর থেকেই শিক্ষকতা করে আসছেন শাবিপ্রবির অর্থনীতি বিভাগের এই ছাত্র। আর নতুন কমিটি অনুমোদন পায় প্রায় পাঁচ মাস আগে।

সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এম রশিদ আহমেদ প্রশ্ন তোলে বলেছেন, "তিন বছর আগেই শিক্ষকতার চাকুরীতে যোগ দেয়া বদরুলকে পাঁচ মাস আগে কোন ভিত্তিতে কমিয়ি জায়গা দেয়া হয়েছিল?"  তিনি বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তিও দাবি করেন।



শাবিপ্রবি ছাত্রলীগ তাদের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, "গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নিয়মিত ছাত্ররাই সংগঠনের সদস্য হিসেবে সক্রিয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারে, কোনো চাকুরীজীবী নয়।"

তবে গত মে মাসের ৮ তারিখে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন সাক্ষরিত বিবৃতিতে শাবিপ্রবির অনুমোদিত কমিটিতেই বদরুলের নাম দেখা যায়।


এ বিষয়ে  যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ নেতা সুশান্ত দাশগুপ্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, "একটা ছোট প্রশ্ন মাথায় ঢুকলো! শাবিপ্রবির পূর্নাঙ্গ কমিটি হইছে ২০১৬ এর মে মাসে। মানে মাত্র ৫ মাস আগে। আমার তো মনে হইতাছে এই বদরুল যখন কমিটিতে অনুমোদন পায় তখন সে অলরেডি চাকরিতেই ছিলো! তাইলে ঘঠনা কি দাড়াইলো? গলদটা কোন জায়গায়?

তারচেয়ে আমাদের ছাত্রলীগের কি এটাই বলা ভালো হতো না যে, ইয়েস বদরুল ছাত্রলীগ করতো, তারে ভুলে কমিটিতে নেওয়া হইছিলো। আর দেশের প্রচলিত আইনেই তার বিচার হোক। এখানে ছাত্রলীগ ছিলো কি ছিলো না এটা কোন মুখ্য না।"

এ ব্যাপারে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমেদ সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমককে বলেন, "বদরুল তথ্য গোপন করে ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পায়। সে চাকরি করত এটা গতকালও আমরা জানতাম না। গতকাল রাতে আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল তাকে আজীবন  বহিষ্কার করা হবে কিন্তু সে চাকরি করে জানার পর বহিষ্কারের আর দরকার পড়েনি, কারণ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেউ চাকুরী করলে এমনিতেই সে আর পদে বহাল থাকে না।"

ইমরান বলেন, "বদরুল একবার শিবিরের হামলায় আহত হওয়ায় তার প্রতি মানবিক হয়ে কমিটিতে স্থান দেয়া হয় কিন্তু সে যে এরকম অমানবিক কাজে যুক্ত থাকবে তা ভাবাই যায়নি। আমরা বদরুলের পাশবিক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি"।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত