নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০৫

শাবি ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় মামলা, বোনসহ কথিত প্রেমিক গ্রেপ্তার

সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় জালালাবাদ থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে সাকি চৌধুরী নামের নির্যাতিত ছাত্রী বাদী হয়ে দু'জনকে আসামী করে মামলা করেন।

মামলার পর এ ঘটনায় আগেই আগেই আটক ওই ছাত্রীর প্রেমিক দাবিদার কাওছার আহমদ ও তার বোন ফাহমিদা আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন। কাওছার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও তাঁর বোন ফাহমিদা একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী।

ওসি জানান, সাকি বাদী হয়ে মারধর ও অপরহণ চেষ্টার অভিযোগে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বাদী ও গেফতারকৃত দু'জন- এই তিনজনের বাড়িই হবিগঞ্জে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন : ‘প্রেম প্রত্যাখ্যান’ করায় শাবি ছাত্রীকে মারধর, কথিত প্রেমিককে গণধোলাই

জানা যায়, শুক্রবার শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে শাবি ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী সাকি চৌধুরীর সাথে দেখা করতে বোনকে নিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন কাওছার আহমদ। ক্যাম্পাসে আলাপচারিতার একপর্যায়ে ভাইবোন মিলে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করতে থাকেন। এবং জোর করে রিকশায় তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালান। এসময় শাবি অধ্যাপক সামসুল আলম ও সাজেদুল করিম ঘটনাস্থল দিয়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি তাদের নজরে পড়ে। তাঁরা কাওছারকে থামানোর চেষ্টা করলে কাওছার ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষকদের উপরই চড়াও হন। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে কাওছারকে মারধর করেন।


ঘটনার খবর পেয়ে জালালাবাদ থানা পুলিশ ক্যাম্পাসে গিয়ে কাওছার ও তার বোনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। এসময় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। পরে শিক্ষার্থীদের শান্ত করে কাওছার আহমদ, তার বোন ও লাঞ্ছিত ছাত্রীকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

জালালাবাদ থানা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর সাথে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো বলে দাবি করেছেন কাওছার। মারধরের ঘটনাকে ভুল বুঝাবুঝি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত