সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ নভেম্বর, ২০১৬ ২০:২১

এক দশক পূর্তিতে সিকৃবির বর্ণাঢ্য আয়োজন

বহুমাত্রিক সাফল্য ও অমিত সম্ভাবনা নিয়ে ১০ বছর অতিক্রম করলো উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কৃষি শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

এক দশক পূর্তিতে সিকৃবি ক্যাম্পাস বর্ণাঢ্য সাজে সেজেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর। দুদিন আগে থেকেই বর্ণিল আলোকসজ্জা ও রোড পেইন্টিংয়ে রঙিন হয়েছে দেশের চতুর্থ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টি। দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর প্রাণের উচ্ছ্বাসের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে সিকৃবি।

শনিবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯ টায় ক্যাম্পাস থেকে প্রায় দশটি ট্রাকে করে নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে যায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। সেখান থেকে শুরু হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। নানা রঙে ও পোশাকে সজ্জিত এ শোভাযাত্রাটি জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, ধোপাদীঘিরপার হয়ে সিলেট শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।

শোভাযাত্রাটির নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. গোলাম শাহি আলম। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার জনাব মো. বদরুল ইসলাম, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) প্রফেসর ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার, প্রক্টর প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, দপ্তর প্রধানবৃন্দ, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং ক্যাম্পাসের প্রাণ সিকৃবির ৬ অনুষদের শিক্ষার্থীরা। শোভাযাত্রা শেষে ক্যাম্পাসের প্রশাসন ভবনের সামনে জন্মদিনের কেক কাটা হয় ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

এদিকে বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। ক্যাম্পাসের লেক সাইডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের তোলা চমৎকার সব ছবি স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে। বিভিন্ন অনুষদ থেকে দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ হয়েছে, শনিবারই পত্রিকাগুলো উন্মোচিত করা হয়। সন্ধ্যায় ক্যাম্পাস মাতালো সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। বিভিন্ন অনুষদের শিল্পীরা নাচে গানে জাকজমকভাবে আয়োজন করেছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

দুই দিনব্যাপী আনন্দ আয়োজনের অংশ হিসেবে রবিবার দুপুর তিনটায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে পুরো ক্যাম্পাস বাংলাগানের ব্যান্ড শিরোনামহীনকে নিয়ে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। সন্ধ্যা ৬টায় প্রশাসন ভবনের সামনে নির্মিত মঞ্চে গান গাইবে শিরোনামহীন, কাইটস ও মেট্রোনম। মঞ্চটি যেন শুধু কাঠ ও বাঁশের মঞ্চ নয়, দশ বছরের সুখ-দু:খ আর স্মৃতি আনন্দের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। ক্যাম্পাসের এই আনন্দ উৎসবে যোগ দিতে ইতোমধ্যে সাবেক সিকৃবিয়ানরা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সিলেটে ছুটে এসেছেন।

মাত্র ৫০ একর জমি নিয়ে ২০০৬ সালের ২ নভেম্বর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যাত্রা করেছিল। মূল ক্যাম্পাসের বেশির ভাগ জমি টিলা ও জঙ্গলবেষ্টিত। শিক্ষক বা শিক্ষার্থীরা গবেষণার জন্য জমি গত বছর বহিঃক্যাম্পাস হিসেবে ফেঞ্চুগঞ্জ-তামাবিল বাইপাস সড়ক সংলগ্ন খাদিম নগর এলাকায় ১২.২৯ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। গবেষণা ও শিক্ষাখাতে সাফল্য এবং চমৎকার প্রশাসনিক কাঠামো এ ক্যাম্পাসকে সারা বাংলাদেশে পরিচিতি এনে দিয়েছে। তাইতো সাফল্যে ভরা একদশক উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করছে সিকৃবি পরিবার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত