রাবি প্রতিনিধি

২৩ নভেম্বর, ২০১৬ ১৭:২৫

রোহিঙ্গা হত্যা বন্ধে মায়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সংগঠনকে চাপ সৃষ্টির আহবান

মায়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞ বন্ধে মায়ানমার সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক সংগঠনের চাপ সৃষ্টি এবং অং সান সুচি’র নোবেল ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী পিয়াস বলেন, ‘হত্যাযজ্ঞের হাত থেকে বাঁচার তাগিদে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের এদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তারা আজ জীবন যুদ্ধে ভাসমান। অনাহারে তাদের জীবন বিপন্ন। ভাসতে ভাসতে মৃত্যুকে বরণ করে নিতে তারা বাধ্য হচ্ছে। এমতাবস্থায় আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো তাদের ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ। তাদের নীরব ভূমিকা কাম্য নয়। আমরা মায়ানমার সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানাচ্ছি।

এ সময় অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের আরেক শিক্ষার্থী ইমরান বলেন, ‘আইন-কানুন ভুলে বেপরোয়াভাবে নির্বিচারে রোহিঙ্গাদের হত্যা করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা মেয়েদের ধর্ষণ পরবর্তী হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু জাতিসংঘ, ন্যাটোসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো এক্ষেত্রে কিছুই করতে পারছে না, নাকি করছে না?। তাদের উচিত মায়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করা।’

তিনি আরো বলেন, ‘অং সান সুচি’কে কিসের ভিত্তিতে শান্তিতে নোবেল দেওয়া হয়েছে। যে সুচি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় রোহিঙ্গাদের এভাবে হত্যা করা হচ্ছে, সে নোবেলের যোগ্য নয়। হয়তো তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদে এ বর্বরতা চালানো হচ্ছে। আমরা দাবি রাখছি তার নোবেল ফিরিয়ে নেওয়া হোক।

রাবি শিক্ষার্থী সাজ্জাত বলেন, ‘আজ ধর্মের কথা নয়, রোহিঙ্গা প্রশ্নে বিশ্ব মানবতা আজ নীরব। দিনে দিনে আমরা চেতনা বিহীন প্রাণীতে পরিণত হয়ে যাচ্ছি। অত্যাচারীরা আজ সংঘবদ্ধ কিন্তু আমরা সংঘবদ্ধ নই। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় আমাদের সংঘবদ্ধ হতে হবে, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।’

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়ে মায়ানমার সরকারকে ধিক্কার জানান। তারা অতি দ্রুত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার দাবিতে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সেই সাথে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান সাময়িকভাবে যেন তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত