শাবি প্রতিনিধি

০৬ জুলাই, ২০১৭ ০১:১৭

‘উপাচার্যের শ্যালককে পদোন্নতি দিতে’ শাবিতে বিশেষ সিন্ডিকেট আহ্বান!

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভূঁইয়ার শ্যালক জাহাঙ্গীর আলম ওরফে হুমায়ুন কবীরকে পদোন্নতি দেয়ার জন্য বিশেষ সিন্ডিকেট ডাকা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্যের সভাকক্ষে এ সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হবে। কর্মকর্তাদের নীতিমালা সংশোধনের জন্য এক বিশেষ সিন্ডিকেট ডাকা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন। ।

জানা যায়, সিন্ডিকেটের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদোন্নতির নীতিমালা হালনাগাদ করা। নতুন নীতিমালায় ২৫টি নতুন পদের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র অতিথি ভবনের জন্যই প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সহকারী রেজিস্ট্রার, উপ-রেজিস্ট্রার ও অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারসহ ৫টি নতুন পদের প্রস্তাবনা রয়েছে। এ পদগুলো অতিথি ভবনে কর্মরত সুপারিন্টেন্ডেট পদোন্নতির মাধ্যমে প্রাপ্ত হবেন। এ পদে ভিসির শ্যালক কর্মরত আছেন।

অতিথি ভবনে প্রস্তাবিত নতুন পদগুলো নিয়ম বহির্ভূত ও অপ্রয়োজনীয় বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য। এর আগে হুমায়ুন কবীরকে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদে চাকরি দেয়ার সময়ও সরকারি চাকরিতে নিয়োগ নীতিমালার বয়স লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য জানান, নতুন পদ সৃষ্টি করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় অর্গানোগ্রাম কমিটির সুপারিশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন নিতে হয়। পরে সেটি সিন্ডিকেটের সভায় পাসের মাধ্যমে অর্গানোগ্রামে যুক্ত করা হয়। কিন্তু এ নিয়ম তোয়াক্কা না করেই নতুন পদের নীতিমালার জন্য বিশেষ সিন্ডিকেট ডাকা হয়েছে।

সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক কবির হোসেন বলেন, অপ্রয়োজনীয় কিছু থাকলে সেটি সিন্ডিকেট সদস্যরা আলোচনা করবেন। একই কথা বললেন সিন্ডিকেট সদস্য ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মহিবুল আলম বলেন, সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়োগ পদোন্নতির জন্য একটা সাধারণ নীতিমালা তৈরি করছে ইউজিসি। এটা শেষ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সাধারণ নীতিমালা করবে। তাই এই সময়ে তাড়াহুড়া করে এ নীতিমালার কোনো প্রয়োজনীয়তা নাই।

উপাচার্যের আত্মীয়কে পদোন্নতি দিতেই অতিথি ভবনে পদ সৃষ্টি করা হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন মহিবুল আলম।

অতিথি ভবনে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার পদের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মস্তাবুর রহমান বলেন, একজন দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাই অতিথি ভবন পরিচালনার জন্য যথেষ্ট।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত