শাবি প্রতিনিধি

১৮ জুলাই, ২০১৭ ২২:৫৮

শাবির এফইটি বিভাগ থেকে শামিমের প্রথম পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি (এফইটি) বিভাগ থেকে প্রথম পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন বিটিআরআই’র সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. শামিম আল মামুন।

“বাংলাদেশে চায়ের লালমাকড় নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন” শিরোনামে গবেষণাকর্মের জন্য তিনি এ ডিগ্রি অর্জন করেন। তার এ বিষয়ে ৫টি গবেষণাপত্রের মধ্যে ৩টি আইএসআই জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেটে তার পিএইচডি ডিগ্রি অনুমোদন করা হয়। এফইটি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হকের তত্ত্বাবধায়নে এ গবেষণা কাজ করেন। সহ-তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিটিআরআই) এর প্রাক্তন পরিচালক ড. মাইনউদ্দীন আহমেদ। এর আগে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) থেকে বি.এস.সি.এজি.(অনার্স) ও এমএস(এনটোমলজি) ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি বিটিআরআই’র এনটোমলজি বিভাগের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।

শামিম আল মামুন তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় শাবিপ্রবি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে পারে আমি খুবই আনন্দিত। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের ১ম পিএইচডি ফেলো হতে পেরে আমি গর্বিত। এজন্য আমি আমার গবেষণা সুপারভাইজার ও কো-সুপারভাইজার, এফইটি বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ এবং নানাভাবে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

গবেষণাকর্ম নিয়ে তিনি বলেন, চায়ের লাল মাকড় খুবই অনিষ্টকারী। চা উৎপাদনে এটি মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটায়। এর আক্রমণে ব্যাপক শস্যক্ষতি হয়ে থাকে। গবেষণালব্ধ উদ্ভাবিত চায়ে আইপিএম প্রযুক্তি ব্যবহার করে চা বাগান তথা চা শিল্প বিশেষ উপকৃত হবে বলে আমি মনে করি। টেকসই ও নিরাপদ চা উৎপাদনে এ আইপিএম প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ বিভাগের প্রথম পিএইচডি অর্জন করায় আমার গবেষণা থিসিস এ বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতে গবেষণার কাজে লাগবে বলে আশা করি।

এফইটি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক জানান, ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করা এই বিভাগ অল্প সময়ের মধ্যে শাবির একটি অনন্য বিভাগে পরিণত হয়েছে। এর সাথে বিটিআরআই’র সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শামিম আল মামুনের পিএচডি ডিগ্রি অর্জন এই বিভাগের জন্য একটি মাইলফলক এবং এজন্য আমি খুবই গর্বিত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত