সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ মে, ২০১৯ ১৬:৪৭

‘ভেজাল মৎস্য ও প্রাণিজ খাদ্যের যথেচ্ছ ব্যবহারে জৈব নিরাপত্তা হুমকিতে’

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার বলেছেন, ভেজাল মৎস্য ও প্রাণীজ খাদ্যের যথেচ্ছ ব্যবহারে বিভিন্ন হাওরে জৈব নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন। অপরিকল্পিতভাবে উৎপাদিত ভেজাল মৎস্য খাদ্য ব্যবহারের ফলে প্রাকৃতিক উৎসের মৎস্য সম্পদেও ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও ভারী ধাতুর উপস্থিতি উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি বলেন, এ সকল ক্ষতিকারক পদার্থমুক্ত নিরাপদ খাদ্য পেতে হলে হাওর-বাওরসহ উন্মুক্ত জলাশয়ে সরকারি নজরদারীর পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে 'বেনবেইজ' এর অর্থায়নে মাৎস্য প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগে বাস্তবায়নাধীন 'ব্যাকটেরিয়লজিক্যাল অ্যান্ড কেমিকেল এনালাইসিস অব ইন্ডিয়ান মেজর কার্পস অব হাকালুকি হাওর ইন সিলেট রিজিয়ন' শীর্ষক প্রকল্পের উদ্যোগে দিনব্যাপী সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদীয় ডিন প্রফেসর ড. মোহা. তরিকুল আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক প্রফেসর ড. মো. আবুল কাশেম, সাউরেস পরিচালক প্রফেসর ড. মো. শহিদুল ইসলাম, মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক সুলতান আহমেদ।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. মো. মোতাহার হোসেন।

সেমিনারে উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে মাছের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় বেশি। কিন্তু ভেজাল খাদ্য দ্রব্য ব্যবহারের ফলে হাকালুকি হাওরের ইন্ডিয়ান মেজর কার্প অর্থাৎ রুই, মৃগেল ও কালি বাউশ মাছের ব্যাকটিরিয়াল ও রাসায়নিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ই-কলাই, সালমোনেলা এবং ভিব্রিয়স্পেসিস এর উপস্থিতির পাশাপাশি ভারী ধাতু সীসার উপস্থিতি গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি পাওয়া গিয়েছে যা নিরাপদ খাদ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।

তারা আরও বলেন, নিরাপদ মৎস্য সম্পদ রক্ষার স্বার্থে সকল পর্যায়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। তবেই প্রাকৃতিক উৎসের নিরাপদ মৎস্য সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হবে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, সিনিয়র শিক্ষক, গবেষকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত