ডেস্ক রিপোর্ট

২২ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:২৭

পরীক্ষায় আর কখনই প্রশ্নপত্র ফাঁস সম্ভব হবে না- শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ

প্রশ্নপত্র তৈরি থেকে ছাপা পর্যন্ত সব স্তর মনিটরিংয়ের আওতায় থাকবে

আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে এবং আর কখনই প্রশ্নপত্র ফাঁস করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বুধবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে মন্ত্রী জানালেন- প্রশ্নপত্র তৈরি থেকে ছাপা পর্যন্ত সব স্তর মনিটরিংয়ের আওতায় থাকবে।

২০১৪ সালে চারটি পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটে। প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ মেলায় ঢাকা বোর্ডের একটি পরীক্ষা স্থগিতও করা হয়। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ‘সাজেশন’ আকারে ছড়িয়ে পড়ে প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি-জেডিসি, এসএসসি ও এইচএসসির প্রশ্ন। এসব ‘সাজেশনের’ বেশিরভাগই মূল প্রশ্নের সঙ্গে হুবহু মিলে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়।  তবে এই অভিযোগকে অস্বীকার করেন মন্ত্রী। 

প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে, বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালন করেন। 

সরকার দলীয় সাংসদ তাহজীব আলম সিদ্দিকীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী নাহিদ বলেন- আগামী এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হবে না। কেউ প্রশ্ন ফাঁস করার সাহস দেখাতে পারবে না। পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সরকার আরও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রশ্ন প্রণয়নকারী, পরিক্ষক ও প্রশ্ন মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান বিজি প্রেসের সবাই মনিটরিংয়ের আওতায় রয়েছেন। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর সূচি রয়েছে।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি অস্বীকার করার অভিযোগ অসত্য উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন- আমরাই প্রথম এসএসসির প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি প্রকাশ করেছি। এজন্য পরীক্ষাও বন্ধ করেছি। নতুন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিয়েছি। তবে জেএসসিতে কোন প্রশ্ন পাঁস হয়নি। 

মন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন- ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া প্রশ্ন তদন্ত করে দেখেছি, সেটা মূল প্রশ্নপত্র নয়। সাজশন তুলে দেওয়া হয়েছে, যার দু’একটি প্রশ্নের সঙ্গে মূল প্রশ্নপত্রের মিল ছিল। এটা প্রশ্ন ফাঁস হিসেবে তুলে ধরার অর্থ হলো পাবলিক পরীক্ষাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করা ও সরকারকে বিব্রত করা। টকশোতে যারা এসব বলছেন, তারা না জেনেই বলছেন। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঘোলাটে করার জন্য বলছেন।

পীর ফজলুর রহমানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী সংসদকে জানান- পিএসসি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও যে ছাত্রটি এ প্লাস পেয়েছে, তা কেরানির ভুলে হয়েছে। এ ফলাফল সংশোধন করা হয়েছে।  তদন্তে বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে।




আপনার মন্তব্য

আলোচিত