সিলেটটুডে ডেস্ক

২৪ নভেম্বর, ২০১৯ ১২:৫২

ব্রজমোহন কলেজে বিশ্ব দর্শন দিবস পালিত

সরকারি বিএম কলেজের দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে কলেজ শিক্ষক সম্মেলন কক্ষে আমন্ত্রিত অতিথি, সহস্রাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে বিশ্ব দর্শন দিবস-২০১৯ পালিত হয়েছে।

জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ইউনেস্কো কর্তৃক ঘোষিত নভেম্বর মাসের তৃতীয় বৃহস্পতিবার সারা বিশ্বব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্বব্যাপী দর্শন দিবস পালিত হয়। ২০০২ সাল থেকে প্রতিবছর এ দিবস পালিত হয়ে আসছে। সে ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে ২০১৯ সালে ঘোষিত স্লোগান, `Wisdom and Morality Improve Humanity’-কে ধারণ করে দর্শন দিবসে বিএম কলেজ দর্শন বিভাগের উদ্যোগে সেমিনার ও সাময়িকী ‘প্রজ্ঞার’ মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দর্শনাচার্য প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান, উপাচার্য, গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান, দর্শন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও ব্রজমোহন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শফিকুর রহমান শিকদার, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক মো. আলআমিন সরোয়ার উপস্থিত ছিলেন। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর সত্য রঞ্জন রায়, প্রফেসর মো. আসাদুজ্জামান এবং প্রফেসর এ. এস. এম হাবিবুল ইসলাম।

সকাল ১০ ঘটিকায় কলেজ ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য আনন্দ মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শফিকুর রহমান শিকদার। ড. মো. ফোরকান মিয়ার সঞ্চালনায় সেমিনারের প্রারম্ভে ‘জনদর্শন এবং এর প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডক্টর মো. মাসুদ আলম। আলোচকবৃন্দ সমাজে জনদর্শনের আবেদন এবং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করেন।

সেমিনারের প্রধান অতিথি ড. আনিসুজ্জামান তার আলোচনায় বলেন, ‘আমাদের উচিত সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের জন্য সর্বাধিক পরিমাণ কল্যাণ কামনা করা। অথচ একথাটি বলা যতটা সহজ বাস্তবায়ন ঠিক ততোটাই কঠিন। আমরা কোন ব্যাপারে যখনই প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হই তখনই শয়তান কিংবা তৃতীয় কোন শক্তিকে দোষারোপ করি অথচ প্রতিবন্ধকতা সব নিজের মধ্যেই।’

ড. আনিসুজ্জামান তার আলোচনায় আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী দর্শনের যে সংকটকাল চলছে তা থেকে উত্তরণের জন্য কেবল দার্শনিক ও দর্শন পড়ুয়াদের নয় বরং সকল শ্রেণির চিন্তাবিদদের এগিয়ে আসতে হবে ।

অনুষ্ঠানের সভাপতি আখতারুজ্জামান তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ‘এ বছর বিশ্ব দর্শন দিবস শিক্ষক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হলেও আগামী বছর থেকে উন্মুক্ত মাঠে বৃহৎ পরিসরে দেশ বরেণ্য দার্শনিকবৃন্দের উপস্থিতিতে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে’।

যারা বিভিন্নভাবে সেমিনার ও সাময়িকী প্রকাশের ক্ষেত্রে সহায়তা করেছেন তাদেরকে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত