নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ জানুয়ারি, ২০২০ ১২:২৭

অবসরে ডিএম হাইস্কুলের শিক্ষক মকছুছুল আম্বিয়া চৌধুরী

ঢাকা উত্তর মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের (ডিএম হাইস্কুল) জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মকছুছুল আম্বিয়া চৌধুরী দীর্ঘ ৩৬ বছরের শিক্ষকতা জীবন শেষে অবসরে যাচ্ছেন।

আগামী ৩১ জানুয়ারি অবসরে যাচ্ছেন মানুষ গড়ার এই কারিগর। গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ছিল তার শেষ কর্মদিবস। এ উপলক্ষে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

বিদায় সংবর্ধনায় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এরআগে, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে তাকে বিদায়ী স্যালুট দেওয়া হয়।

মকছুছুল আম্বিয়া চৌধুরী ডিএম হাইস্কুলের ছাত্র থেকে শিক্ষক হয়েছিলেন, এবং এরপর একই বিদ্যালয়ে সাড়ে তিন দশকের বেশি সময় শিক্ষকতা করেন। ১৯৭০ সালের জানুয়ারিতে তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৭৫ সালে একই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন।

ডিএম হাইস্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক মুহিউল ইসলাম জায়গীরদারের পরামর্শ ও তার বাবার সম্মতিতে ১৯৮৪ সালের এপ্রিলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি, এবং এখান থেকে তার কর্মজীবন শেষ করেন।

বিদায়ী শিক্ষক মকছুছুল আম্বিয়া চৌধুরী বিদায়ী বক্তব্যে বলেন, ডিএম হাইস্কুল অনেক মানুষ গড়ার কারিগর। এই বিদ্যালয় অত্র অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়েছে, এখনও ছড়িয়ে যাচ্ছে। এই বিদ্যালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার বাবা করিমগঞ্জ থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। কিন্তু আমার সৌভাগ্য হয়েছে এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণের। আমার পরিবারের অন্য সন্তানেরাও এখান থেকে শিক্ষা অর্জন করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি এই স্কুল প্রতিষ্ঠাতা ও বিভিন্ন সময়ে পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে জড়িত সকলকে ধন্যবাদ জানান।

ডিএম হাইস্কুলের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মকছুছুল আম্বিয়া চৌধুরীর অবসর গ্রহণের প্রতিক্রিয়ায় সাবেক শিক্ষার্থী রাসেল হেলাল চৌধুরী শ্যামল বলেন, একদিন বিদায় বললেই তিন যুগের সম্পর্ক ছিন্ন হয়না। এই ডিএম হাইস্কুলের প্রতিটি কোণায়, প্রতিটি ধুলো কণায়, প্রতিটি শিক্ষার্থীর অন্তরে মিশে আছে আম্বিয়া স্যারের (মকছুছুল আম্বিয়া চৌধুরী) নাম। স্যার আপনি হয়তো জানেননা যে আপনার আদরের শিক্ষার্থীরা আপনাকে কতোটা সম্মান করে, ভালোবাসে। আজকের এই ডিএম হাইস্কুল এই অবস্থানে আসার পেছনে আপনার অবদান স্বর্ণালী অক্ষরে ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। আজ হয়তো আপনার ৩৬ বছরের শিক্ষকতা জীবনের শেষদিন কিন্তু আপনার দেয়া শিক্ষার শেষ দিন নয়।

বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রোমান আহমদ বলেন, আম্বিয়া স্যার কেবল একজন শিক্ষকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন এক প্রতিষ্ঠান। স্যারের দেওয়া শিক্ষা আমাদের জীবনের পাথেয় হয়েছে। নির্মোহ ও নির্লোভ আম্বিয়া স্যার শিক্ষকতার আদর্শ ও জ্ঞানের বাতিঘর।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত