অধ্যাপক ড. মো. আতী উল্লাহ

২৯ জুন, ২০২০ ২৩:১৯

করোনা বনাম কবির ‘আত্মসন্ধানের হেড আপিস’

বৈশ্বিক মহামারি ‘কোভিড-১৯’ আসার পর থেকে আমি একটানা ৪৪ বছরের এ ক্ষুদ্র শিক্ষক এ নিয়ে প্রায় ২০ টির মত লেখা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ইতিমধ্যেই লিখে ফেলেছি। এতে সৃজনশীল এ পরিশ্রম আমাকে পীড়া দিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তাতে আমার বিশ্বমানবকুলের যদি সামান্যতম হিতসাধন হয়, তবে আমি আমার জনম-জীবনকে সার্থক মনে করব। কারণ, আজ আমরা পার করছি মানবইতিহাসের কঠিন একটা সময়। তাই, আমার লেখাগুলো অনেকের কাছেই সখ করে পড়ার বিষয় হিসেবে না-ও ঠেকতে পারে, কারণ, এগুলো তো কোন গল্প-উপন্যাস বা কোন রম্য-রচনা নয়। লেখাগুলো আমাদের, অর্থাৎ, আমরা সকল মানুষের, জীবন-মৃত্যুর সাথে সম্পৃক্ত।

এত মানুষ মারা যাচ্ছে সারা বিশ্বে। আমার দেশের পাথর-কোয়ারির শ্রমিকগণ কাজ হারিয়ে আজ বেকার, গার্মেন্টস সহ সকল কারখানা হয় বন্ধ, না হয়, আধা বন্ধ। সরকার ত্রাণ দিতে দিতে হয়রান, জনপ্রতিনিধিরা বাটতে বাটতে হয়রান, তার উপরে আছে চুরির নাম/বদনাম। আমি জানি না, সরকার এ ভাবে কতদিনই বা ত্রাণ দিতে পারবে। আর, মানুষজন লাশ দাফন-কাফন করতে করতে হয়রানই শুধু নন, পুরাদস্তুর ভীতও বটে। শিক্ষক-কর্মচারী, চিকিৎসক-নার্স, রাজনীতিজ্ঞ, সেনা-র‌্যাব-পুলিশ-আনসার, ব্যাংকার, শিল্পী-তারকা, অফিসার, ইমাম, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষ, কারো রেহাই নেই। গাড়ির ওয়ার্কশপসমূহ প্রায় বন্ধ। ইঞ্জিনিয়ার-ডেইন্টার-পেইন্টার-ওয়্যারিং মিস্ত্রী-কালো কালো গেঞ্জি পরা ও হাতে-পায়ে মোবিল-পেট্টল লাগানো ছোকরাগুলো, সকলের মুখে কালোর-ই ছাপ। বাজারে যারা যান, চট-জলদী খরচাদি করেই আবার ফেরেন বাসা-বাড়িতে। হোটেল-মোটেল-রেস্তোরার শ্রমিক-মালিকগণ দিশেহারা।

বিমান, বিদ্যুৎ, ইত্যাদি বিভাগ সহ অনেক বিভাগ ইতিমধ্যেই সরকারের নিকট থেকে চেয়ে বসেছে বিরাট বিরাট অংকের ঋণ, অফিস-আদালত চলছে, তো চলছে না, অনেক অফিসে সকলেই যান অনেকটা রোটেশন-রোষ্টার করে। মসজিদসমূহেও আযান-বাত্তি-নামাজ সবই চলছে, তবে আগের মত প্রাণ-চাঞ্চল্য নেই কোথাও। কত আর উল্লেখ?

২.
সবচাইতে ভয়ংকর বিষয়টি হচ্ছে: আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশা। প্রথমে পল্লী-অঞ্চলের কথাই বলি। সকল সচেতন অভিভাবক দিশেহারা। তাঁদের কথা: “আমাদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া স...ব খেয়ে ফেলছে”, অর্থাৎ, ভুলে গেছে বা ভুলে যাচ্ছে। অনেকের নাকি স্কুল-মাদ্রাসায় যাওয়ার অভ্যাসটাও বদলে যাচ্ছে। পেটের তাড়নায় অনেক অভিভাবকই নাকি ইতিমধ্যেই, বিশেষ করে ছেলে-বাচ্চাদের ছোট-খাটো রোজি-রোজগারও পাওয়ার এবং খাওয়ার ব্যাপারেও অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছেন বাধ্য হয়ে। আমি ভয় পাচ্ছি, স্কুল পর্যায়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষাসমূহ তো ভেস্তেই গেল, দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষারও কোন নিশ্চয়তা আজও দেখা যাচ্ছে না। কি হবে বার্ষিক পরীক্ষার, বিশেষ করে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী, অষ্টম লেভেলের, এসএসসি, এইচএসসি-র? গ্রামাঞ্চলে তো টুইশনিরও তেমন কোন সুযোগ-সামর্থ্যও নেই। তদুপরি, এই করোনার দিনে কেউ কারো বাড়িতে যেতে অথবা কেউ কাউকে তার বাড়িতে নিতেও ভয় আছে। তাই, গোল্লায় যাচ্ছে ছেলে-মেয়েরা। পল্লী-অঞ্চলে অন-লাইন ক্লাসও কল্পনাতীত। ৬ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। আবার অনেকে কাটাচ্ছেন হাউরে কোয়ারেন্টিন জীবন।

৩.
শহরাঞ্চলে করোনার প্রকোপ তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় শহুরে অভিভাবকগণ নিজেরাই বাচ্চাদেরকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাতে ভীতসন্ত্রস্ত। অধিকাংশ শহর-ক্ষেত্রে অন-লাইন ক্লাস চলছে। চলছে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও। কিন্তু তা-ও অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেই ব্যয়-সাধ্যের বাইরে। অধিকন্তু, উচ্চ-শিক্ষার ক্ষেত্রেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই উঠে এসেছে অজ-অজ পাড়াগাঁ থেকে। তাদের জন্য অন-লাইনের ব্যয় কুলানো দু:সাধ্য; তাদের অনেকেই নিজেদের পড়াশুনাই চালাতো টুইশনির উপর নির্ভর করে। অনেক ছেলে-মেয়ে এখনো আমাকে ফোন করে জানায় তাদের অসহায়ত্ব, বেকারত্ব এবং পরীক্ষা-সেশনজটের ভয়ের কথা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাহস-সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা আমি স্বয়ংও খুঁজে পাই না।

৪.
উত্তর-পূর্ব-সিলেটে শুক্রবার (২৫ জুন) দ্বিতীয়বারের মত আসল বাড়িঘর তলানো বন্যা। যোগাযোগ ব্যবস্থা আবারও ভেঙ্গে পড়েছে। অল্প ক’দনি পূর্বের আকস্মিক বন্যা ও ঝড়ো হাওয়ায় এবং প্রায় সারা দেশ বার বার ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ায় পল্লী-অঞ্চলের অনেক ছোট-বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্কুল-মাদ্রাসাসহ ঘরসমূহে দরজা জানালা বন্ধ থাকায় নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র। অনেক শিক্ষকের সাথে আমার আলাপ হয়। তাঁরা নিরাশ-হতাশ। করারও কিছু নেই। সরকার স্কুল-মাদ্রাসা খুলে দিলেও অভিভাবকগণ বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তিত। তারা হয়ত নিজেরাই বাচ্চাদেরকে পাঠাবেন না। তাই অনেক বাচ্চা ঝরে পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে।

৫.
বিশ্ব-বাণিজ্য-অর্থনীতি আজ চরম হুমকির মুখে। উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতিও পুরো লাইফ সাপোর্টে রয়েছে আজ। যুক্তরাষ্ট্র নাকি ইতিমধ্যেই ৭ ট্রিলিয়ন ডলার (দু:খিত, আমি সাহিত্যের মানুষ, আমাদের টাকায় এর হিসেব মিলিয়ে দিতে পারব না) খরচ করে ফেলেছে এই ছোট্ট ভাইরাসটির বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে, কিন্তু কোন কূল-কিনারা আজ অবধি পায় নি। আর, ট্রাম্প সাহেব বলেছেন: তাঁর দেশে নাকি ইতিমধ্যেই ৪ লক্ষ মানুষ মারা যেতে পারত। একদিন নাকি সভা ডেকে নিজে উপস্থিত হয়ে একজন মানুষও দেখতে পান নি, তাই, মন-মরা হয়ে নিজের গলা-ব›ধ (টাই) খুলে নিজ হাতে নিয়ে বিষণ্ণ মনে একা হেঁটে হেঁটে বেরিয়ে আসেন। হায়রে (অদৃশ্য) করোনাভাইরাস! সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে কিভাবে তুই চীন থেকে ওখানে গিয়ে পৌঁছলি? গোটা ভূম-ল কিভাবে তুই দাবিয়ে বেড়াচ্ছিস? চার/পাঁচ কিলোমিটার মাটির নিচের স্বর্ণ বা কয়লাখনিতে কি করে তুই যাস? আর, মহাসমুদ্রের গহ্বরে কি করে তুই সাবমেরিনে ঢুকিস? ঐ যে মহাপ্রভুর চির-আধুনিক আল-কোরআনের শাশ্বত বাণী: “আমার গজব যার দিকে সম্মুখ করেছে, সে ধংস হয়ে গেছে”।

৬.
ব্যুৎপত্তি-বিজ্ঞান অনুসারে আরবি শব্দ ‘ক্বোরুন’ (অর্থ-শতাব্দী) থেকে উৎপন্ন হয়েছে ইংরেজি শব্দ ‘ক্রাউন’ (মুকুট/রাজমুকুট)। পূর্বেকার যুগের রাজা-বাদশাহরা বা তাঁদের বংশধরগণ শতাব্দীর পর শতাব্দী নিজেদের দেশ বা সাম্রাজ্য শাসন করতেন বংশ-পরম্পরায় ধরে। তাঁদের ক্ষমতা, ‘জনগণ-প্রদত্ত’-এতে তাঁরা বিশ্বাস করতেন না, বরং তাঁদের একান্ত বিশ্বাস ছিল, তাঁদের ক্ষমতা ‘দৈব-প্রদত্ত’।

যেকোনো মুকুট, বিশেষ করে, রাজমুকুটের উপরের দিকে অনেকগুলো শিং (ইংরেজিতে-হর্ন) থাকে। আর, আমরা জানি, ছোটবেলায় দেখেছি এবং শুনেছিও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, মহিষের শিং (আগে থেকে বানিয়ে রাখা) দিয়ে মাইকের মত জোরে ফুঁক দিয়ে আওয়াজ করে রমজান মাসে সেহরি খাওয়ার জন্য, বিশেষ করে পাড়াগাঁ-অঞ্চলে, মানুষজনকে ডাকা হত, ঘুম থেকে জাগানো হত। ৬০/৭০ বছর পূর্বে ঘড়ি ছিল দু’একজনের হাতে, বিদ্যুতের প্রশ্নই আসে না, ছিল কুপি-বাতি, মশাল-বাতি বা লেন্টন, কারো হাতে আবার ব্যাটারি-নিয়ন্ত্রিত টর্চলাইটও থাকত। আর, গ্রামাঞ্চল তো দূরের কথা, শহরাঞ্চলের অনেক মসজিদেও ঐ সময় কোন মাইক ছিল না।

ঐ কালে ঐ সমস্ত শিংসমূহ থেকে শেষ রাতের গভীর ঘুমের সময় যে আওয়াজ দেয়া হত, তা, তখনকার চতুর্দিকে শান্ত-নিরিবিলি আশ-পাশ দশ গ্রাম পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছাত, আর, সকলে সজাগ হয়ে উঠে সেহরি খেত। আমরা একটু ভেবে দেখি না কেন, আজকের “করোনাভাইরাসটি” ঐ ‘শিঙ্গার’ (শিং-এর) ঐ আওয়াজটার, এবং, কিয়ামত দিবসের “ধংস-লীলাকারি ও ভয়ংকর ফুঁৎকারের” নীরব জীবাণু কি না? কিয়ামত দিবসের ঐ প্রলয়ঙ্করী এক ফুঁৎকারে মহাবিশ্ব ধংস হবে, একই সঙ্গে এক ভূমিকম্পে সকল মানুষ হবে দিশেহারা, গর্ভধারিণীর অজান্তে তার গর্ভপাত হবে, দুগ্ধ-পানরত শিশু মায়ের অজান্তে তার কোল থেকে ছিটকে পড়বে, ভীতসন্ত্রস্ত প্রতিটি মানুষকে মনে হবে মাতাল; অথচ কেউই প্রকৃতপক্ষে মাতাল থাকবে না (এ অবস্থা হবে অকল্পনীয় ভীতির কারণে), পর্বতসমূহ তুলা তুলা হয়ে উড়তে থাকবে, আর মহাপ্রভু তাঁর কুদরতি হস্তে মহাকাশসমূহকে কাগজের মত (আমরা যেমন কাজ শেষে অপ্রয়োজনীয় কাগজকে মুষ্টিতে নিয়ে কুঞ্চিত করে ছুঁড়ে ফেলে দেই) এক মোচড়ে কুঞ্চিত করে ছুঁড়ে ফেলে দেবেন। অত:পর শিঙ্গার আরেক ফুঁৎকারে মহাবিশ্ব পুন:সৃষ্ট হবে (যে ভাবে সেটি প্রথমবার সৃষ্ট হয়েছিল; প্রথমবার সৃষ্টি করা যেহেতু আদপেই কঠিন ছিল না, দ্বিতীয়বার সৃষ্টি করা তো কোন ব্যাপারই নয়)।

৭.
আর, এজন্য অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে জিজ্ঞেস করার: কবির “আত্মসন্ধানের হেড আপিস” জিনিসটা কি? বা কে? উত্তরটি হচ্ছে: নিজেদের (অর্থাৎ, মানবের নিজ নিজ) ‘বিবেক’ ও ‘বুদ্ধি’। উত্তরটি বিশ্লেষণ করলেই এবং সেমত চলতে পারলেই মানবের ইহকাল ও পরকালের মুক্তির পথ হবে সহজ ও সরল। এ প্রসঙ্গেই অপর জিজ্ঞাস্য বিষয়টি হল: “কোভিড-১৯ কি এবং কেন”? কবির “আত্মসন্ধানের হেড আপিস” নির্দ্বিধায় উত্তর দেবে: “তোমরা মানবই সব বুঝ এবং জানো। তোমরা তোমাদের নিজেদের ভাষায় উত্তরটির নাম দিতে বা বলতে পার-‘প্রকৃতির খেয়াল’, ‘প্রকৃতির প্রতিশোধ’ বা ‘আল্লাহর গজব’ ”। যে ভাবেই তোমরা এটাকে নাম দাও বা ব্যাখ্যা কর না কেন, আবারও উত্তর পাবে: “হে মানব! আমার আদম-সন্তানের জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত আমার স্বহস্তে সৃষ্ট কত কত কোটি কোটি মানুষকে খেয়ালি যুদ্ধ করে নির্বিচারে হত্যা করেছ? কত বৃদ্ধ-বৃদ্ধা আহাজারি করে মরেছে? কত কোটি কোটি অবুঝ শিশুর প্রাণ নিষ্ঠুরভাবে ঝরিয়েছ? কত মা-কে মেরেছ? কত মিলিয়ন মিলিয়ন নারীর উপর পশুর মত অত্যাচার করেছ? কত নারীকে বিধবা বানিয়েছ? আমার সখের প্রকৃতিকে কি ভাবে পুড়িয়েছ? আমার আদরের সৃষ্ট অন্যান্য কত প্রাণীকে হত্যা করেছ? আমার কত জমিনকে বিরান করেছ? আমার আকাশ-বাতাস-পাতালকে কত কাঁপিয়েছ ও ভারি করেছ? আমার কত সাগর-মহাসাগরকে নির্মমভাবে দুষিত করেছ? আরও জবাব দাও, আমার দেওয়া উপকরণ দিয়ে অস্ত্র বানিয়ে তোমরা কত রক্তগঙ্গা বইয়েছ........?

৮.
আমি সহ্য করতে না পেরে কত হাজার-লক্ষ-কোটি বার বিভিন্ন রূপে আমার স্বীয় আর্মি (গজব) পাঠিয়ে তোমাদেরকে সতর্ক করেছি। তোমরা পাত্তা দাওনি। এবার পাঠিয়েছি ছোট্ট থেকে ছোট্ট একটি ভাইরাস। তোমরা বুঝে/না বুঝেই এর নাম দিয়ে ফেলেছ ‘কোভিড-১৯’। হ্যাঁ, কোন একটা ‘১৯’ সালেই পাঠাব, এবং এর আগাম প্রকাশ্য ঘোষণা আমার নাযিলকৃত পবিত্র গ্রন্থ আল-কোরআনে দিয়ে রেখেছি: “সব কিছুর উপরে রয়েছে ১৯”। আরও শুনে রাখো, ‘ক্বোরুন’, অর্থাৎ, তোমাদের ‘ক্রাউন’ বা ‘করোনা’র শিং বা শিঙ্গাসমূহের ‘ফুঁৎকার’---এসব কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছে শতাব্দীর দিকে। তাই, ধরে নিতে পার, আর, নিশ্চিতও থাকতে পার, তোমাদেরই অপকর্মের কারণে, কিয়ামত আসার পূর্বে, আজকের এ ভাইরাসটি, তোমাদের গোটা পৃথিবী দাবিয়ে, দেশে দেশে ঘুরে ঘুরে, তার প্রভাব-প্রতিক্রিয়া-ভোগান্তি-একের পর এক মহামারি-প্রাকৃতিক বিপর্যয়-দুর্ভিক্ষ দিয়ে, শতাব্দী বা তারও অধিক কাল ধরে তোমাদেরকে শায়েস্তা করতে থাকবে। তোমরা শুধু প্রস্তুত থাকো, আর, স্বাদ উপভোগ করতে থাকো। আমার সৈন্য-সংখ্যা আমি ছাড়া কেউ জানে না। তাই, কয়টি মহামারির প্রতিষেধক তোমরা সকলে মিলে বের করতে পারবে, একটু খতিয়ে দেখ। আর, এটাও জেনে রাখো: কথাগুলো আমি তোমাদের ‘আত্মসন্ধানের হেড আপিস’ বলছি”।

অধ্যাপক ড. মো. আতী উল্লাহ : প্রতিষ্ঠাতা ও বিভাগীয় প্রধান, ইংরেজি বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত