
২৩ মে, ২০২০ ১৬:৫০
করোনাকালীন এই ক্রান্তিলগ্নে ব্রিটেন প্রবাসী কণ্ঠশিল্পী পরাগ হাসানের 'করোনা' শিরোনামের এক বিশেষ সংগীত প্রয়াস ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। চার মিনিট আঠারো সেকেন্ডের এই ভিডিওটি প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ মানুষ দেখেছেন, প্রায় দশ হাজার মানুষজন শেয়ার করেছেন এবং এই পরিবেশনার প্রশংসা করেছেন কয়েক হাজার দর্শক।
বিজ্ঞাপন
ধ্রুব মিউজিক স্টেশনে সম্পাদিত এই সংগীত প্রোডাকশনের কথা, কণ্ঠ, সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন পরাগ হাসান। গানের সঙ্গে শেষ বিকেলের আলোয় নয়নাভিরাম মাঠ ও নিসর্গের ভিডিওচিত্র ধারণ করেছেন কণ্ঠশিল্পী সাইদা তানি। গানটি করোনা মোকাবেলা সারাবিশ্বের সকল ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী করোনা সঙ্কটকে নিয়ে রচিত এই গান হাজার হাজার দর্শকদের ছুঁয়ে যাবার মূল কারণ এর অন্তর্নিহিত বাণী- বলেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ব্রিটিশ হাই-কমিশনার আনোয়ার চৌধুরী।
প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী চিরঞ্জীব চক্রবর্তী তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, গানের পরিবেশন এবং গায়কীতেও আমি সমানভাবে মুগ্ধ। এত মানুষ এই গানকে দেখেছেন এবং ভালবেসেছেন - এটা ভাবতেই আমার খুব ভাল লাগছে।
সুরালয় সংগীত সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রিটেনের অন্যতম সব্যসাচী সংগীতশিল্পী গৌরি চৌধুরী জানান, এই গানের বিপুল ভিউ প্রমাণ করে যে, গান যদি সমাজের সঙ্কটকে ছুঁয়ে যায়, মানুষের কল্যাণ নিয়ে কথা বলে তবে আজ অথবা কাল মানুষ তা গ্রহণ করবেই।
বিজ্ঞাপন
শিল্পী পরাগ হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইকোলজিতে পড়াশুনা করে যুক্তরাজ্যের ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতকোত্তর শেষ করে এখন ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবায় কাজ করছেন। গান করার পাশাপাশি গিটার বাজান, সংগীত বিন্যাস এবং পরিচালনা করেছেন বেশ কিছু নিরীক্ষামূলক উদ্যোগে। পরাগ বাংলাদেশেও যুক্ত ছিলেন নতুন ধারার সংগীত রচনা ও পরিবেশনায়।
পরাগ হাসান বলেন, "আমি সত্যিই অভিভূত আমার এই কাজে মানুষের আশাতীত সাড়া দেখে। এমন সাড়া আমাকে সত্যিই অনুপ্রাণিত করেছে। গানের মধ্য দিয়ে যে কথাগুলি বলতে চেয়েছি তা আরও আরও মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া উচিত। করোনাকালীন আমাদের নিজদের অস্তিত্ব ও কর্মকাণ্ডকে নতুন করে বিবেচনা বা পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে। মানুষের ভালবাসা অব্যাহত থাকলে এরকম মানবতাবাদী আরও অনেক গান রচনা, সুর ও বিন্যাস করে যেতে চাই।"
গানের ফেসবুক লিঙ্ক।
গানের ইউটিউব লিঙ্ক।
আপনার মন্তব্য