নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:০৪

মরমী কবি হাসন রাজার জন্মবার্ষিকী আজ

বাংলা লোকসংস্কৃতির কিংবদন্তি, মরমী কবি হাসন রাজার জন্মবার্ষিকী আজ।

তার প্রকৃত নাম দেওয়ান হাসন রাজা। তার পিতা দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরী ছিলেন প্রতাপশালী জমিদার। হাসন রাজা তার তৃতীয় পুত্র। আলী রাজা তার খালাতো ভাই আমির বখ্শ চৌধুরীর নিঃসন্তান বিধবা হুরমত জাহান বিবিকে পরিণত বয়সে বিয়ে করেন। হুরমত বিবির গর্ভেই হাসন রাজার জন্ম।

বাংলাদেশে মরমী সাধনার দর্শনচেতনার সাথে সংগীতের এক অসামান্য সংযোগ ঘটিয়েছেন তিনি। ১৫ বছর বয়সে বাবা ও বড় ভাইকে হারিয়ে আধ্যাত্মিক সাধনায় মন দিয়ে লিখেছেন বেশকিছু কালজয়ী গান।

হাসন রাজার জন্ম ১৮৫৪ সালের ২১ ডিসেম্বর (৭ পৌষ ১২৬১) সেকালের সিলেট জেলার সুনামগঞ্জ শহরের নিকটবর্তী সুরমা নদীর তীরে লক্ষ্মণশ্রী পরগণার তেঘরিয়া গ্রামে। স্বশিক্ষিত এই মরমী শিল্পী সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় লিখেছেন অসংখ্য গান। দিয়েছেন সুর। গান লেখার পাশাপাশি আসর ও গায়ক দল নিয়ে নৌকা ভ্রমণের নেশা ছিলো তার। অংশ নিতেন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও।

বিদ্যালয়ের পড়াশুনায় বেশিদূর না এগোলেও শিক্ষা বিস্তারে রেখেছেন বিশেষ ভূমিকা। হাসন রাজার সংগীত ও দর্শনে মুগ্ধ হয়েছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

মরমী গানের ছক-বাঁধা বিষয় ধারাকে অনুসরণ করেই হাসনের গান রচিত। ঈশ্বানুরক্তি, জগৎ জীবনের অনিত্যতা ও প্রমোদমত্ত মানুষের সাধন-ভজনে অক্ষমতার খেদোক্তিই তার গানে প্রধানত প্রতিফলিত হয়েছে। কোথাও নিজেকে দীনহীন বিবেচনা করেছেন, আবার তিনি যে অদৃশ্য নিয়ন্ত্রকের হাতে বাঁধা ঘুড়ি সে কথাও ব্যক্ত হয়েছে।

'লোকে বলে, বলে রে, ঘর বাড়ি ভালা নাই আমার, কি ঘর বানাইলাম আমি শূন্যেরই মাঝার' তার অসাধারণ এক সৃষ্টি। এমন অসংখ্য গানের জন্ম দিয়েছেন এই গীতিকবি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত