সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ জুন, ২০১৬ ১৯:০১

ধানমন্ডি ৩২: ‘এ হোল্ডিং আইডেন্টিটি অব এ নেশন স্টেট’

ধানমন্ডি বত্রিশ কি শুধুই একটি সড়কের ঠিকানা? নাকি ধানমন্ডি বত্রিশ কেবল একটি ঘৃণ্য, রক্তাক্ত ইতিহাসের সাক্ষ্যই মাত্র। নাকি ঠিকানাটি হাজার বছরের প্রাচীন এক জাতিসত্তার দীর্ঘ লড়াই,সংগ্রাম আর আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে অর্জিত তার নিজস্ব ঠিকানা।


কালের পরিক্রমায় বাঙালি জাতির আপন ঠিকানা হয়ে ওঠা ধানমন্ডি বত্রিশ আর বাড়িটির কর্তাব্যক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্মৃতি ঘিরে নির্মিত হচ্ছে তথ্যচিত্র  ধানমন্ডি ৩২ - এ হোল্ডিং আইডেন্টিটি অব এ নেশন স্টেট। নির্মাতা ফজলুল কবীর তুহিন এর চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় তৈরি হচ্ছে ৩০মিনিট ব্যাপ্তির এই তথ্যচিত্রটি। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর, ৩২ নং ধানমন্ডিতে তথ্যচিত্রটির দৃশ্য ধারণের কাজ শুরু হয়েছে। তথ্যচিত্রের গবেষণায় কাজ করছেন পাঁচজনের একটি দল এবং প্রধান চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করছেন আজহার হক।


তথ্যচিত্রটির পরিচালক ফজলুল কবীর তুহিন এই প্রচেষ্টা সম্পর্কে বললেন, দীর্ঘদিনের স্বপ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত বাঙালি জাতির কালের সাক্ষী এই বাড়িটিকে ঘিরে তথ্যচিত্র নির্মাণের। চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপি পর্যালোচনা করে গত ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্যভিত্তিক চলচ্চিত্রটি নির্মাণের অনুমতিপত্র পাই।  আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মাঝে কাজটি শেষ করতে পারবো।


৩২ ধানমন্ডি তথ্যচিত্র নির্মাণ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাশুরা হোসেন সাক্ষরিত অনুমতিপত্র থেকে জানা যায়,  প্রস্তাবিত তথ্যচিত্রটির পরিচালকের কাছ থেকে পাওয়া চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপি ও উপস্থাপিত ভিডিওচিত্র  পর্যালোচনা করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভাপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্রটি নির্মাণের অনুমতি প্রদান করেছেন। গত মাসে বঙ্গবন্ধু যাদুঘরে পরপর দুই দিন তথ্যচিত্রের দৃশ্য ধারণের কাজ করেছেন পরিচালক। পরবর্তী দৃশ্য ধারণে শীঘ্রই টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছে নির্মাণদল।

ধানমন্ডি ৩২ নং সড়কের বাড়ির জমিটি কিভাবে পেয়েছিলেন শেখ মুজিব? এই বাড়িটির কি কোন আর্কিটেক্ট ছিল? আর বাড়ি নির্মাণের টাকা কিভাবে জোগাড় করেছিলেন মুজিব। এই সব উত্তরের পাশাপাশি এই বাড়িতে তাঁর উঠে আসা এবং ছিমছাম ছবির মত একটি পরিবারের প্রাত্যহিক জীবনের খুঁটিনাটি তো থাকছেই।

বত্রিশ ধানমন্ডির চৌকাঠ মাড়িয়ে কিভাবে ছয় দফা, এগার দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় জেলে যাওয়া এবং ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এক অনন্য মুজিবের বেড়িয়ে আসা। বিশাল জনসমুদ্র থেকে বঙ্গবন্ধু উপাধি নিয়ে যখন বত্রিশ নম্বরে তার আপন গৃহে ফিরেছিলেন মুজিব সেদিন তাঁর পারিবারিক আবহটা কেমন ছিলো? দীর্ঘ দশ মাস কারাভোগের পর স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরলেন মুজিব; শুরু হল নতুন অধ্যায়!   

তুহিন আরও বললেন, জাতির পিতার আপন ঠিকানা আর তাঁর যাপিত জীবনের নানা চড়াই উতরাইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ধানমন্ডি ৩২।  ১৫ আগস্ট  ১৯৭৫; সীমাহীন কলঙ্কের সাক্ষী হয়ে ধানমন্ডি ৩২ তথা বাংলাদেশ এক গভীর অমানিশায় তলিয়ে গেল। তবে কি এখানেই সব শেষ? ইতিহাস তার আপন ঠিকানা খুঁজে নেয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঙালি জাতির রাজনৈতিক নৃতাত্ত্বিক পরিচয় অনুসন্ধানের তীর্থ হয়েই থাকবে ধানমন্ডি ৩২।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত