বিনোদন রিপোর্ট

০৫ আগস্ট, ২০১৫ ১৯:২৯

মনরোকে মনে পড়ে

৫ অগস্ট, ১৯৬২ । শেষ হয়ে যায় মাত্র ৩৬ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবন। তাঁর মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে ৫৩ বছর। তবু তাঁকে নিয়ে উন্মাদনা কমেনি এতটুকু। তিনি মেরিলিন মনরো। এখনো বিশ্বজুড়ে যৌবনের দূত হয়ে বেঁচে আছেন মনরো। বেঁচে আছেন তার অগণিত ভক্ত হৃদয়ে।

পৃথিবীর লাখো মানুষ যে নারীর সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ তিনি হলেন মেরিলিন মনরো। তাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তিনি বিংশ শতাব্দীর একজন বিশ্ববিখ্যাত আমেরিকান চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, মডেল এবং পপ আইকন। আর সকল পরিচয় ছাপিয়ে তার সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো তিনি তার সময়ের সবচেয়ে আবেদনময়ী অভিনেত্রী, যার পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে অসংখ্য ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র মুক্তি পায়।

মনরো তার লাস্যময়ী কণ্ঠ, হাসি আর অভিনয় দিয়ে জয় করে গেছেন লাখো দর্শকের হৃদয়।

মেরিলিন মনরোর জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ায়, ১ জুন ১৯২৬ সালে। তার আসল নাম ছিল নরমা জেন মর্টেনশন। তার প্রকৃত পিতার কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। দু'বছর পর সেখান থেকে পালক পিতা-মাতার আশ্রয় পান মনরো। এখানে পূর্ণ স্বাধীন জীবন যাপনের সুযোগ পান তিনি। মনরোর অভিনয় জীবন শুরু হয় মডেলিং দিয়ে ১৯৪৬ সালে।

অভিনয়জীবনের শুরুতেই তিনি তার ব্রাউনিস কালার চুলকে পরিবর্তন করে তাতে প্লাটিনাম হোয়াইটের এক আভা আনেন, যা তার ট্রেডমার্ক বলা চলে। আর তার নতুন নাম হয় মেরিলিন মনরো। ১৯৪৭ সালে চুক্তিবদ্ধ হন ফক্স স্টুডিওর সাথে। ফলে তাকে দেখা যায় দুটি চরিত্রে যদিও তা খুবই অল্প সময়ের জন্য। এরপর চুক্তি নবায়ন করা হয়নি আর। পরবর্তীতে কলম্বিয়া পিকচারসের সাথে কাজ করেন। কিন্তু তারাও খুব বেশি আগ্রহ দেখায়নি। তাই ফিরে আসেন তিনি মডেলিং জগতে।

হঠাৎ ভাগ্যে পরিবর্তন আসে মনরোর। ১৯৫০ সালে 'অল অ্যাবাউট ইভ' চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ফক্স স্টুডিও থেকে পুনরায় ডাক পান। তারপরের গল্প এক উজ্জ্বল ইতিহাস। লক্ষ মানুষের স্বপ্নের নায়িকা হয়ে ওঠেন তিনি। ফক্স স্টুডিওর সাথে আরও সাত বছরের চুক্তিতে আবদ্ধ হন।

জীবনে প্রথম বিয়ে করেন তিনি ১৬ বছর বয়সে। পরবর্তীতে আরও দুইজনের সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন মনরো কিন্তু কোনোটাই টেকেনি। ১৯৫৫ সালে মুক্তি পায় তার 'সেভেন ইয়ার ইছ' চলচ্চিত্রটি। বেশ সুনাম কুড়ায় এটি। ১৯৫৭ সালে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডে যান তিনি অভিনয় করতে। কিন্তু এর মধ্যেই কিছুটা অধঃপতনের শুরু হয়। পরিচালকদের অভিযোগ আসতে থাকে মনরোকে নিয়ে। তিনি সেটে যেতে দেরি করতেন। মনরোর অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র 'দ্য মিসফিটস'।

৫ আগস্ট ১৯৬২ সালে হলিউডের সেরা এই অভিনেত্রীকে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজ রুমে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হয় অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত