বিনোদন ডেস্ক

০৯ আগস্ট, ২০১৫ ২৩:০৫

ঐশী-স্মরণের এ প্লাস, পড়শির এ

এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সংগীতশিল্পী ঐশী ও স্মরণ পেয়েছেন জিপিএ-৫। আর পড়শি পেয়েছেন ৪.৬৭। রাজধানী ঢাকার ক্যামব্রিয়ান কলেজ থেকে পড়শি ও স্মরণ এবং নোয়াখালী সরকারি কলেজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাশ করেছেন ঐশী। নিজেদের অর্জিত ফলাফল নিয়ে তিনজনই বেশ উচ্ছ্বসিত।

পড়শি বলেন, ‘আম্মু বলেছিল ভালোভাবে পাশ করতে। মনে হচ্ছে, আমি আম্মুর কথা রাখতে পেরেছি। আমার ফলাফল নিয়ে বাসার সবাই খুব খুশি। তাঁদের খুশি আমাকেও খুশি করেছে। সবার কাছে আমি দোয়া চাই।’

স্মরণ বলেন, ‘আমি অনেক বেশি খুশি। আমার এমন ফলাফলের জন্য মহান আল্লাহর কাছে অনেক কৃতজ্ঞতা। কৃতজ্ঞতা আমার মা-বাবার প্রতিও। এ ছাড়াও আমার শিক্ষক, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ সকলের কাছে, যাঁরা সব সময় আমার পাশে ছিলেন।’

সিঙ্গাপুরের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে স্মরণ এখন সেখানে। জানালেন, ‘পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিনে আমি সিঙ্গাপুরের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান গাইতে এসেছি। অন্যরকম এক আনন্দের মধ্য দিয়ে সময়টা কাটছে। এ আনন্দ বলে বোঝানো মুশকিল।’

ঐশী বললেন, ‘তুলনামূলকভাবে সারা দেশে এবার পাশের হার কম। আমি কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষার্থী ছিলাম। সবকিছু ভেবে, আমার ফলাফল নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। পরীক্ষার আগ মুহূর্তেও আমাকে গানের অনুষ্ঠান নিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। এত কিছুর পর যে জিপিএ-৫ পেয়েছি এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।’

গানের জগতে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এ প্রজন্মের গায়িকা স্মরণ ও ঐশীর চেয়ে বেশ এগিয়ে পড়শি। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ভাইবারে অনুসারীর সংখ্যার দিক দিয়ে পড়শি এঁদের দুজনের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে। বিদ্যার দৌড়ে এ যাত্রায় পড়শিকে হার মানতে হলো, এ কথা বলা যায়। তবে এ নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন তিনি।

পড়শি ও স্মরণ দুজনেই চ্যানেল আইয়ের রিয়ালিটি শো ‘মেরিডিয়ান-চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গানের জগতে পরিচিতি পেয়েছেন। আর অন্যদিকে মুঠোফোন প্রতিষ্ঠান রবি আয়োজিত একটি ট্যালেন্ট হান্ট প্রকল্পের মাধ্যমে গানের জগতে নাম লেখান ঐশী। তবে বছরের শুরুর দিকে ঐশী এক্সপ্রেস অ্যালবাম দিয়ে তিনি পরিচিতি পান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত