নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ এপ্রিল, ২০২২ ০১:১৫

❛টেপা পুতুল❜ সম্পর্কে কী জানেন?

১৪২৯ বঙ্গাব্দ বরণে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ছিল ‘নির্মল করো মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’। লোকজ সংস্কৃতিকে ধারণ করে সাজানো হয়েছিল এবারের শোভাযাত্রা। এরই অংশ হিসেবে টেপা পুতুল, ঘোড়া ও উড়ন্ত মাছের বড়ো প্রতিরূপ, মুখোশ, পাখি ও পুতুল শোভাযাত্রায় প্রদর্শন করা হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্যের সঙ্গে মিলিয়ে রঙিন হয় টেপা পুতুলের সাদা জমিন।

সরকারের অনলাইন ওয়েব প্ল্যাটফর্ম ‘কারুশিল্পী বাতায়নে’ এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, বাংলার কুমোররা নরম এঁটেল মাটি দিয়ে হাতের নৈপুণ্য ও কারিগরি জ্ঞানের মাধ্যমে টিপে টিপে এই পুতুল তৈরি করে। হাত দিয়ে টিপে তৈরি করে বলে এ পুতুলকে টেপা পুতুল বলে।

টেপা পুতুল বাংলার ঐতিহ্যেরও একটি অংশ। বাংলাদেশে মূলত মেয়েরাই টেপা পুতুল তৈরি করে। তবে বর্তমানে পুরুষরাও এ কাজে জড়িত হচ্ছে। এ পুতুল বানাতে কারিগরকে নিজস্ব মেধা ও দক্ষতা প্রয়োগ করতে হয়। পুতুলের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হাতের সাহায্যেই গড়ে তোলা হয়। মাটির বুটি দিয়ে বা কাঠির রেখা টেনে এ পুতুলের অলংকার ও পোশাকের আভাস ফুটিয়ে তোলা হয়। পরে রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। শুকানো হয়ে গেলে পোড়ানো হয় আগুনে। এভাবেই টেপা পুতুল বানানো হয়।

সাধারণত বাচ্চাদের খেলনাসামগ্রী হিসেবে টেপা পুতুল বানানো হয়। উল্লেখযোগ্য কিছু খেলনা পুতুল হলো বউ-জামাই, কৃষক, নথ পরা বউ। শৌখিন ব্যক্তিরা গৃহসজ্জার জন্য এ পুতুল সাজিয়ে রাখেন। গ্রামবাংলার মেলায় টেপা পুতুলের পসরা সাজানো থাকে। বর্তমানে শহুরে মেলায়ও এ পুতুল দেখা যায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত