সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০৪

শহিদ আসাদ দিবস আজ

শহিদ আসাদ দিবস আজ। ১৯৬৯ সালের এই দিনে পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব খান সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজের ১১ দফা কর্মসূচির মিছিলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের সড়কে ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামানের মৃত্যু হয়।

আসাদ শহিদ হওয়ার পর তিন দিন শোক পালন করা হয়। এর পর ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ছয় দফা ও ছাত্রদের ১১ দফার ভিত্তিতে সর্বস্তরের মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার নামে ঢাকাসহ সারাদেশে; সংঘটিত হয় ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান। পতন ঘটে স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের। আরেক স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খান ক্ষমতায় বসে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেন।

১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। কিন্তু ইয়াহিয়া ক্ষমতা ছাড়তে নানা টালবাহনা শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় একাত্তর সালে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।

শহিদ আসাদ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে শহিদ আসাদ দিবস তাৎপর্যপূর্ণ।

আসাদ দিবস উপলক্ষে আসাদ পরিষদ, ছাত্রলীগ, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এনডিএফ), ন্যাপ-ভাসানী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ঢাকা মেডিকেল কলেজসংলগ্ন শহিদ আসাদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে শহিদ আসাদ একটি অমর নাম।’

তিনি বলেন, ‘শহিদ আসাদ দিবস, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে অবিস্মরণীয় একটি দিন। আমি শহিদ আসাদকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।’

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানি শাসকদের বৈষম্যমূলক আচরণ, নির্যাতন এবং দমন-পীড়নে বাংলার মানুষ যখন দিশেহারা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ছয়-দফা তখন বাঙালির মুক্তির দিশারী হিসেবে আবির্ভূত হয়। ছয়-দফা হয়ে ওঠে বাঙালির প্রাণের দাবি।’

তিনি বলেন, শহিদ আসাদের আত্মত্যাগ চলমান আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। প্রধানমন্ত্রী শহিদ আসাদসহ বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে আত্মোৎসর্গকারী সব শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। ছাত্রনেতা আসাদ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র। আসাদ শহিদ হওয়ার পর ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি সর্বস্তরের মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার নামে ঢাকাসহ সারা বাংলার রাজপথে। পতন ঘটে আইয়ুব খানের।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত