মারূফ অমিত

০৮ মে, ২০১৬ ০০:১৫

মা শাশ্বত, চিরন্তন

আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’—কবির এ ভাবনাটি প্রতিটি মায়েরই মনের কথা। মা শাশ্বত, চিরন্তন।

পৃথিবীতে মা শব্দের চেয়ে অতি আপন শব্দ আর দ্বিতীয়টি নেই। সন্তানের কাছে সবচেয়ে আপন, সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছেন তার মা। মায়ের গর্ভে সন্তান যেমন রক্ত শুষে নিরাপদে ধীরে ধীরে বড় হয়, তেমনি জন্মের পরও তিল তিল করে মা-ই কেবল তার নাড়ি ছেঁড়া ধনকে তিলে তিলে বড় করে তোলেন আগামীর সম্ভাবনাময় একজন মানুষ হিসেবে।

সব আবদার-অভিযোগও যেন মা ছাড়া কাউকে বলা যায় না। পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রদ্ধা এবং অকৃত্রিম ভালোবাসার সম্পদ এ মাকে সম্মান জানাতেই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব মা দিবস।

শত বছর আগে ১৯০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের এক মা- আনা মারিয়া রিভস জার্ভিস তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটি মাতৃদিবস হিসেবে চালু করেন।

১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে ‘মা দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করে। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি ‘মা দিবস’ এখন বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া, জার্মানিসহ এক শতের বেশী দেশে ‘বিশ্ব মা দিবস’-এর মর্যাদায় দিনটি পালিত হচ্ছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

’মা কত কষ্ট, কত না যন্ত্রণা সহ্য করে দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে তার সন্তানকে জন্ম দেন। প্রসব বেদনার তীব্র কষ্ট মা ছাড়া অন্য কারও পক্ষে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়।

মা শুধু সন্তানের জন্মই দেন না, সন্তানের জন্য নিঃস্বার্থভাবে যে কোনো কিছু ত্যাগ করতে কেবল মা’ই পারেন। কত ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে মা তার সন্তানকে নিজের শরীরের রক্তবিন্দু দিয়ে তিল তিল করে বড় করে তোলেন। শুধু তাই নয়, সন্তান জন্মের পর খেয়ে না খেয়ে নিজের বুকের দুধ পান করিয়ে বড় করে তোলেন।

‘মা’ ডাকের মধ্যে কী যে পরিতৃপ্তির সুখ, অনাবিল আনন্দ তা অন্য কিছুতেই খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। নিজের যত কষ্টই হোক, সব লাঞ্ছনা-গঞ্জনা সহ্য করে, নিজের জীবনের সব চাওয়া-পাওয়া বিসর্জন দিয়ে মা তার সন্তানকে বড় করে তোলেন। মা কখনও নিজের সুখের চিন্তা করেন না। সন্তানের সুখই মায়ের বড় সুখ, সন্তান সুখে থাকলেই মা খুশি।

মায়ের ভালোবাসায় কোনো স্বার্থ নেই, কোনো প্রাপ্তির প্রত্যাশা নেই। মা তার সন্তানকে বুকভরা ভালোবাসা, প্রাণঢালা আদর বিলিয়ে দিয়ে ধন্য হন। মায়ের মমতার আঁচল সন্তানের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত