রিপন দে

১৪ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ১২:১৮

‘ইন লাভিং মেমোরি অব মাই হাজবেন্ড’

‘ইন লাভিং মেমোরি অব মাই হাজবেন্ড’ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ডিনস্টন সিমেট্রিতে নাম পরিচয়হীন পাঁচটি কবরের একটিতে প্রিয়তমা স্ত্রী জেসিজি অশ্রুসিক্ত নয়নে লিখে গেছেন এই উক্তিটি।

ইংল্যান্ড থেকে স্বামীর মৃত্যু সংবাদ শুনে সুদূর শ্রীমঙ্গলে ছুটে এসেছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক জেসিজি। স্বামীর সঙ্গে তার আর শেষ দেখা হয়নি। শ্রীমঙ্গলের শতবর্ষের স্মৃতিবিজড়িত ডিনস্টন সিমেট্রিতে চির নিদ্রায় শায়িত জেসিজির স্বামী।

শহর থেকে প্রায় ১৬ কি.মি. দূরে জেমস ফিনলে টি কোম্পানির ডিনস্টন চা বাগানের ভেতরে। সবুজের চাদর বিছানো সিমেট্রি এলাকাজুড়ে কোথাও কোলাহল নেই, সুনসান-নিথর নিরবতা। শতাধিক বছর ধরে জেমস ফিনলে চা কোম্পানির এই সিমেট্রি রক্ষণাবেক্ষণ করছে।

এখানে একই সঙ্গে একটি কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছেন এক ব্রিটিশ দম্পতি। চিরদিনের মতো ঘুমিয়ে আছে আরও ৯ নিষ্পাপ শিশু সহ ৪৬ জন ব্রিটিশ নাগরিক।

১৯৩৯ সালের বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকার একটি বিমান মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় শ্রীমঙ্গলের উদনাছড়া চা বাগানে বিধ্বস্ত হয়। এ দুর্ঘটনায় নিহত বিমানের দু’জন চালকের মরদেহ ডিনস্টন সিমেট্রিতে সমাহিত করা হয়। পরে আমেরিকার সামরিক বাহিনী দু’বিমান চালকের মৃতদেহ কবর থেকে উঠিয়ে নিজ দেশে নিয়ে যায়।