সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ জুন, ২০১৬ ১৪:৩১

কম বয়সীদের মস্তিষ্কে ফেসবুকের প্রভাব

অপেক্ষাকৃত কম বয়সীদের মস্তিষ্কে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের প্রভাব কী তা জানতে পেরেছেন গবেষকরা। সাইকোলজিক্যাল জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।


ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্যা ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলসে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মস্তিষ্কের মানচিত্রীকরণ সেন্টারের বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে কম বয়সীদের মস্তিষ্কে ফেসবুকের প্রভাব।


বিজ্ঞানীরা বলছেন, চকোলেট খাওয়া কিংবা লটারিতে টাকা জেতার সময়ে মস্তিষ্কের যে অংশ ক্রিয়াশীল থাকে, সেই একই অংশ ক্রিয়াশীল হয় কম বয়সীরা ফেসবুকে তাদের কনটেন্টে বিপুল পরিমাণ ‘লাইক’ পেলে।


১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৩২ জনের ওপর ওই গবেষণা পরিচালিত হয়। এদের প্রত্যেককে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ইন্সটাগ্রাম সাইজের ১৮৪টি করে ছবি দেখানো হয়। এই ছবিগুলোর মধ্যে ৪০টি করে ছবি ছিল তাদের নিজেদের।


গবেষণা কাজে মস্তিষ্কের ক্রিয়াশীলতায় পরিবর্তন শনাক্তে সক্ষম এক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, যা ফাঙ্কশনাল ম্যাগনেটিক রিজোনেন্স ইমাজিং নামে পরিচিত।


ওই যন্ত্রের মাধ্যমে প্রত্যেককে দেখানো হয় তাদের নিজেদের আর অন্যদের ছবি। পরিমাপ করা হয় তাদের মস্তিষ্কের পরিবর্তনজনিত প্রতিক্রিয়া। এভাবেই গবেষণাটি সম্পন্ন হয়।


গবেষণাকর্মের প্রধান গবেষক ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চিলড্রেন’স ডিজিটাল মিডিয়া সেন্টারে কর্মরত লরেন শেরম্যান ইন্ডিপেনডেন্টকে বলেন, যখনই কম বয়সীদের তাদের নিজেদের ছবিতে বিপুল লাইক পড়ার চিত্র সামনে আনা হয়েছে, দেখা গেছে তাদের মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ড চারপাশে বিস্তৃত হয়েছে। তবে একই ছবি যখন আমরা অন্যদের দেখিয়েছি, তাতে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া হয়নি। তিনি বলেছেন, ‘নিজের ছবির প্রতিই এই আগ্রহ মানুষের’।

গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য আনুযায়ী, ফেসবুকের প্রভাবে মস্তিষ্কে ক্রিয়াশীল হওয়া অংশের নাম নিউক্লিয়াস অ্যাকুবেন্স, যা মস্তিষ্কের একটি ইতিবাচকতার সঙ্গে ক্রিয়াশীল থাকা সার্কিট। বয়:সন্ধিকালে এটি বেশি ক্রিয়াশীল থাকে।

গবেষণায় দেখা গেছে, নিজেদের যে ছবিগুলোতে বেশি লাইক দেখেছেন কম বয়সীরা, সেগুলোতেই তারা ব্যাপক আলোড়িত হয়েছেন। তবে অন্যদের ছবিতে তারচেয়েও বেশি লাইক দেখেও তাদের মস্তিষ্কে একইরকম প্রতিক্রিয়া হয়নি। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত