সিলেটটুডে অনলাইন ডেস্ক

০৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৫:৫৪

ফেসবুক, গুগল, টুইটার ও মাইক্রোসফটের জোট গঠন

ইন্টারনেটের যেমন অনেক ভালো দিক আছে, তেমনি আছে ভয়ংকর দিকও। সন্ত্রাসীরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে সদস্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি তাদের প্রচার কার্যক্রম চালাচ্ছে।

ওয়েবে সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদীরা যাতে তাদের প্রচার চালাতে না পারে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিশ্বের কয়েকটি বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের জোট। এ জোটে আছে ফেসবুক, গুগল, টুইটার ও মাইক্রোসফট।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) এই চারটি প্রতিষ্ঠান জোট গঠনের কথা জানায়। ওয়েবে সন্ত্রাসী প্রচার ঠেকাতে এবং এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবায় যেন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ না চলতে পারে, এ জন্য প্রযুক্তি ও তথ্য পরস্পরের সঙ্গে বিনিময় করবে তারা।

এই চারটি প্রতিষ্ঠান মিলে তাদের ব্যবহারের উপযোগী ‘ফিঙ্গার প্রিন্টিং’ নামের একটি ডিজিটাল ডেটাবেজ তৈরি করবে। সন্ত্রাসী কার্যক্রমের যেসব কনটেন্টকে ফ্ল্যাগ দেখানো হবে তা এই ডেটাবেজে থাকবে।

প্রতিষ্ঠানগুলোর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই জোটের মাধ্যমে আমরা ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি সুরক্ষা ও আমাদের প্ল্যাটফর্মে তাদের স্বাধীনভাবে মুক্ত মত প্রকাশের সুবিধা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

বিবৃতিতে জানানো হয়, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উগ্রবাদী কনটেন্টের প্রচার প্রতিরোধে অন্যান্য উপায় নিয়েও এই জোট আলোচনা করেছে।

ওয়েবে সন্ত্রাসী প্রচার বন্ধে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ ভূমিকা নিয়ে কয়েক বছর ধরে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা হচ্ছে।

নতুন জোট ‘হ্যাসেস’ বা ‘ইউনিক ডিজিটাল ফিঙ্গার প্রিন্টস’ ব্যবহার করে সন্ত্রাসীদের প্রকাশ করা ছবি ও ভিডিও শনাক্ত করবে।

এ রকম কোনো ছবি বা ভিডিও টুইটারে শনাক্ত করা হলে তা ‘হ্যাস’ ব্যবহার করে ডেটাবেজে যুক্ত হবে এবং তা ফেসবুকে আছে কি না, তা দেখা হবে। এতে ফেসবুক ওই ভিডিও মুছে দেওয়া বা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়ায় যাবে।

সাধারণত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে কোনো কনটেন্ট সরিয়ে ফেলতে ব্যবহারকারীর ওপর নির্ভর করতে হয়। কনটেন্ট অনুপযুক্ত বা নীতিমালার লঙ্ঘন হিসেবে ব্যবহারকারী ফ্ল্যাগ দেখালে তা অপসারণ করার বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করে প্রতিষ্ঠান।

নতুন ডেটাবেজে ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দের কোনো কনটেন্ট যুক্ত হবে না।

জোটে অন্য প্রতিষ্ঠান যাতে যুক্ত হতে পারে তার সুযোগও রাখা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস

আপনার মন্তব্য

আলোচিত