৩১ অক্টোবর, ২০১৫ ১২:০৩
সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ নতুন একটি ফতোয়া জারি করেছেন। এই ফতোয়ায় তিনি বলেছেন, সৌদির পুরুষরা প্রচণ্ড ক্ষুধার সময় তাদের স্ত্রীর মাংস খেতে পারবেন। তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতির কারণে স্বামী তার স্ত্রীর শরীরের যে কোনো অংশের গোশত খেতে পারবে।
এই ফতোয়াকে স্বামীর প্রতি নারীর উৎসর্গ এবং আনুগত্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। দেশটিতে এমনিতেও নারীদেরকে বিভিন্নভাবে ছোট করা হয়। তাদেরকে বিভিন্ন ফতোয়ার মাধ্যমে পুরুষের অধীন করে রাখা হয়।
দেশটির ধর্মীয় কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের প্রধান মুফতি আবদুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ একটি ফতোয়া জারি করেছেন। এতে বলা হয়েছে, পুরুষ তার স্ত্রীকে বা স্ত্রীর শরীরের যে কোন অংশ প্রচণ্ড ক্ষুধার সময় খেতে পারবেন। এ ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে এই ফতোয়া নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এই ফতোয়ার মাধ্যমে স্বামীর ইচ্ছাকে নিজের ইচ্ছা হিসেবে গ্রহণ এবং স্বামীর প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশের এক দলিল হিসেবে দেখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্র্যান্ড মুফতি। এর আগে এই মুসলিম নেতা ইসলামের আইন অনুযায়ী দেশের সব গির্জা ধ্বংস করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তবে মুফতির সর্বশেষ এই ফতোয়া তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রচার করা হয়নি। আর এ বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তাও দেয়া হয়নি। সৌদি আরবে নারী অধিকারের বিষয়টি একেবারেই অপ্রতুল। সেখানে নারীর স্বাধীনতা বলে কিছুই নেই।
২০১১ সাল পর্যন্ত নারীরা কোনো ভোটাধিকার পায়নি। দেশের কোনো নির্বাচনে ভোট দেয়ার বিষয়ে নারীরা নিষিদ্ধ ছিলেন। এছাড়া দেশটি মানবিধার লঙ্ঘনেরও রেকর্ড করেছে। পুরুষদের ছাড়া কোনো নারী ও শিশুদের বাইরে কোথাও যাওয়া, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা নিষিদ্ধ ছিল। তারা তুচ্ছ আইন লঙ্ঘন করলেও জনসম্মুখে তাদের শাস্তি দেয়া এবং অপমানের বিধান রয়েছে।
আপনার মন্তব্য