আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৫ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩ ১২:৫০

ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃত্যু ৪১ হাজার ছাড়াল

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪১ হাজার। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সমন্বিতভাবে এখনো চলছে উদ্ধার অভিযান। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ হয়ে আসছে। এরই মধ্যে ধ্বংসস্তূপ থেকে ছড়াচ্ছে লাশের গন্ধ।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের কাহারমানমারাস শহরে আঘাত হানা ভূমিকম্প কাঁপিয়ে দেয় তুরস্ক ও সিরিয়ার বিশাল একটি অংশকে। শক্তিশালী ৭.৮ মাত্রার এ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা এখনও বাড়ছে। সবশেষ পাওয়া খবরে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত দুই দেশে ৪১ হাজারেরও বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  

তুরস্কের ইমার্জেন্সি কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের (এসএকেওএস) বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এখন পর্যন্ত শুধু তুরস্কে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৪১৮। ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ৮ হাজার মানুষকে। অন্যদিকে এ পর্যন্ত সিরিয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা ৫ হাজার ৮শ।  

গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৪৫ সেকেন্ডের ভূমিকম্পের পর আরও ২ হাজার ৩শর বেশি আফটারশক হয়েছে বলে জানিয়েছে ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা। এতে যেসব ভবন এখনও অক্ষত আছে সেগুলোর স্থায়িত্ব নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর আগে ১৯৩৯ সালে তুরস্কে শক্তিশালী এক ভূমিকম্পের আঘাতে অন্তত ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।  

তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ভূমিকম্পের নয় দিন পেরিয়ে গেছে। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মিলছে প্রাণের সন্ধান। শত বাধা আর কষ্ট উপেক্ষা করে উদ্ধারকারীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত কিংবা মৃত সবাইকে বের করে আনতে। তবে এখনও হাজার হাজার মানুষ চাপা পড়ে থাকায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বা তারও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা জাতিসংঘের।  

এদিকে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ার নাগরিকদের জরুরি ভিত্তিতে সাময়িক ভিসা দেয়ার কথা জানিয়েছে জার্মানি। দেশটিতে বসবাসরত অভিবাসীদের ক্ষতিগ্রস্ত আত্মীয়দের খাদ্য, বাসস্থান ও চিকিৎসাসেবা দিতে এ পদক্ষেপ নিচ্ছে বার্লিন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত