আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১০ জুলাই, ২০২৩ ১২:২৩

বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত, ২২ প্রাণহানি

উত্তর ভারতের কয়েকটি অংশে তিন দিন ধরে তুমুল বৃষ্টিপাতে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২২ জনের। ওই অঞ্চলগুলোর বহু নগর ও ছোট শহরের রাস্তা ও ভবনগুলো হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে আছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান, দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকাগুলোতে আগামী দুই দিনে আরও বৃষ্টি হতে পারে।

হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও দিল্লি বাসিন্দারা অনলাইনে যেসব ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন তাতে পানির তোড়ে যানবাহনকে কাগজের নৌকার মতো ভেসে যেতে দেখা গেছে। অন্য ভিডিওতে আবাসিক এলাকাগুলোতে প্রবলবেগে কর্দমাক্ত পানি ঢুকতে, নদীর পানি উপচে তীরের সবকিছু ডুবে থাকতে ও মাটিতে বড় বড় গর্ত তৈরি হতে দেখা গেছে।

হিমাচল প্রদেশে অবিরাম বৃষ্টিতে হড়কা বান ও ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। এতে বহু ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে। রবি, বিয়াস, শতদ্রু, সোয়ান ও চেনাবসহ রাজ্যের সবগুলো প্রধান নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় মানালি, কুল্লু, কিন্নর ও চাম্বা এলাকায় হঠাৎ বন্যা দেখা দেয়।

প্রতিবেশী উত্তরাখণ্ডেও ভূমিধ্বস ও হড়কা বানের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যটিতে সব নদনদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া ও সাম্বা জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। তিন দিনের মাথায় বৃষ্টি থামার পর অমরনাথ যাত্রা আবার শুরু করা হয়েছে।

ভারি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় দিল্লি ও সংলগ্ন গুরগাঁও এর সব স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। গুরগাঁও এর প্রশাসন ট্র্যাফিক জ্যাম এড়াতে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে সোমবার তাদের কর্মীদের বাসা থেকে কাজ করানোর পরামর্শ দিয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে হরিয়ানা হাতিনিকুণ্ড ব্যারেজ থেকে এক লাখ কিউসেক পানি যমুনা নদীতে ছেড়ে দিয়েছে। এতে বন্যার আশঙ্কায় দিল্লির সরকার বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলোর ওপর নজর রাখার জন্য ১৬টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছে।

রাজস্থান, পাঞ্জাব ও হরিয়ানার বেশ কয়েকটি অংশে ভারি বৃষ্টি হওয়ায় নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে এবং শহরগুলোতে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত