সিলেটটুডে ডেস্ক

১৫ জুলাই, ২০২৩ ১২:০৫

রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফেরাতে জাতিসংঘে প্রস্তাব গৃহীত

ফাইল ছবি

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে দ্রুত প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) জেনেভায় মানবাধিকার পরিষদের ৫৩তম অধিবেশনে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।

এছাড়া রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার মাধ্যমে চলমান সংকটের টেকসই সমাধানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

মানবাধিকার পরিষদের চলমান অধিবেশনে বাংলাদেশের উদ্যোগে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সকল সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক প্রস্তাবটি পেশ করা হয়।

মিয়ানমারের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা ঝুঁকির পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে শুরু থেকেই প্রস্তাবের বিভিন্ন বিষয়ে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে স্পষ্ট মতভেদ দেখা দেয়। মিয়ানমারে চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যাবাসন সম্ভব নয় মতের বিপরীতে দীর্ঘসময় ঝুলে থাকার অনিশ্চয়তার প্রেক্ষিতে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করার আবশ্যকতা নিয়ে মত ব্যক্ত করা হয়। অবশেষে, নিবিড় ও সুদীর্ঘ আলোচনা শেষে প্রস্তাবটি আজ জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

প্রস্তাবটিতে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সাময়িক আশ্রয় প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করা হয়।

এছাড়াও, প্রস্তাবটিতে প্রত্যাবাসন নিয়ে চলমান দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তার ফলে রোহিঙ্গাদের মধ্যে সৃষ্ট হতাশা এবং এর নানাবিধ নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাখাইনে দ্রুত সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই এবং স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের ওপর জোর দেওয়া হয়। এ প্রেক্ষিতে একদল রোহিঙ্গা প্রতিনিধি কর্তৃক রাখাইনে ‘গো-এন্ড-সি ভিজিট’ এর বিষয়টি আলোচিত হয় তাদের মধ্যে অধিকতর আস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে।

প্রস্তাবে, ক্রমহ্রাসমান ও অপর্যাপ্ত অনুদান-সাহায্য বিবেচনায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য আহবান জানানো হয়।

গৃহীত এ প্রস্তাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যৌন অপরাধসহ সকল প্রকার নির্যাতন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার আওতায় আনা ও তদন্ত প্রক্রিয়া জোরদার করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। এ প্রেক্ষিতে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে চলমান বিচার প্রক্রিয়াকেও সমর্থন জানানো হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত