সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

০৪ জুন, ২০১৬ ২২:২১

ভারতে নাগরিকত্ব পাবেন বাংলাদেশি হিন্দু শরণার্থীরা

বাংলাদেশি হিন্দু শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দিতে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ২০১৪ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ভারতে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু শরণার্থীদের শিগগিরই সেদেশের নাগরিত্ব দিতে ‘নাগরিকত্ব আইন-১৯৫৫’ সংশোধনের পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত।

শনিবার দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার ‘নাগরিকত্ব আইন-১৯৫৫’ সংশোধনের পরিকল্পনা নিয়েছে। এর ফলে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে আসা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ‘অবৈধ অভিবাসী’র তকমা ঘুচে যাবে।

এর আগে, ২০১৪ সালে লোকসভার নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল ক্ষমতাসীন বিজেপি।  

টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, নাগরিকত্ব আইনে সংশোধনী আনা হলে শরণার্থীরা ভারতে থাকতে পারবেন। এছাড়া প্রায় ২ লাখ হিন্দু শরণার্থী যারা প্রতিবেশি দেশ থেকে ধর্মীয় সহিংসতার কারণে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তারা লাভবান হবেন।

পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইনের কড়াকড়ির কারণে প্রত্যেক বছর অন্তত ২ হাজার থেকে ৫ হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভারতে পালিয়ে আসেন। অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ বাংলাদেশ সীমান্তের কাছের শহর পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে উত্তেজনা তৈরি করেছে।

তবে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যে শরণার্থীরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শুধুমাত্র তারাই ভারতীয় নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন। নাগরিকত্ব নিবন্ধন ফি ১৫ হাজার রুপি থেকে কমিয়ে একশ রুপি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। এছাড়া কাগজপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে এমন শরণার্থীরাও ভারতে থাকার অনুমতি পাবেন।

আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী উদ্বাস্তুর সংজ্ঞা, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সুরক্ষার বিষয়টি নির্ধারণ করা হবে। যদিও যুদ্ধ অথবা ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে উদ্বাস্তুদের গ্রহণে সদস্য দেশগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক হলেও ১৯৫১ সালের জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশনে সাক্ষর করেনি ভারত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত