ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ ঠেকিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন স্কটল্যান্ড পার্লামেন্টের সদস্যরা। স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেন জানান, তারা ব্রেক্সিট আটকানোর চেষ্টা করবেন।

বৃহস্পতিবারের গণভোটে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে যুক্তরাজ্যের ৫২ শতাংশ জনগণ রায় দিলেও স্কটল্যান্ডের ৬২ শতাংশ লোকই সংস্থাটিতে ব্রিটেনের থেকে যাওয়ার পক্ষে রায় দেয়। ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ৩৮ শতাংশ। তবে পুরো যুক্তরাজ্যে থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৮ শতাংশ।

রোববার বিবিসির এক অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) প্রধান স্টার্জেওনকে ভোটের পর স্কটিশ পার্লামেন্টের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। জবাবে স্টার্জেওন বলেন, তিনি অবশ্যই স্কটিশ এমপিদের এ বিষয়ে সম্মতি না দেয়ার কথা বলবেন। স্কটিশ পার্লামেন্ট স্কটল্যান্ডের জন্য কোনটি ঠিক হবে তার ভিত্তিতে বিষয়টি বিবেচনা করলে আমরা বলতে পারি, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে যাবে এমন কিছুতে আমরা ভোট দিতে পারি না। অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।

স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টে ১২৯টি আসনের মধ্যে ৬৩টি এসএনপি’র দখলে। যুক্তরাজ্যের ব্যবস্থায় স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ার‌ল্যান্ডকে কিছু ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। ওই ক্ষমতা অনুযায়ী, লন্ডন পার্লামেন্টে কোনো বিল অনুমোদনের পর তা কার্যকর করতে হলে বিলটিতে স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের পার্লামেন্টের অনুমোদন প্রয়োজন।

তবে ব্রেক্সিট আটকাতে স্কটল্যান্ডের সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ আছে। একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কনজারভেটিভ দলের এমপি ডেভিড মুনডেল বলেন, পছন্দ না হলেও বৃহস্পতিবারের ফলের প্রতি আমাদের সম্মান দেখাতে হবে। পুরো যুক্তরাজ্য জুড়ে ভোট হয়েছে এবং যুক্তরাজ্যবাসীরাই এ ভোট দিয়েছে।

স্কটল্যান্ড ব্রেক্সিট আটকাতে পারবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মুনডেল বলেন, স্কটিশ পার্লামেন্ট ব্রেক্সিট আটকানোর অবস্থায় রয়েছে, ব্যক্তিগতভাবে আমার তা মনে হয় না। যদিও এ বিষয়ে আইনী ব্যবস্থাগুলো কি, তা আমি দেখিনি।

বিবিসিকে এ সাক্ষাৎকার দেওয়ার আগে স্টার্জেওন বলেছিলেন, তিনি ও তার সহকর্মীরা আগামী সপ্তাহে ইইউ’তে স্কটল্যান্ড থেকে যাওয়ায় বিষয়ে ব্রাসেলসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন।