অনলাইন ডেস্ক

০১ আগস্ট, ২০১৬ ১৩:৪২

সব মুসলমান সহিংস নয়, সব ধর্মে মৌলবাদী গোষ্ঠী থাকে : পোপ

সব মুসলমান সহিংস নয় উল্লেখ করে ইসলামকে ধর্মকে সহিংসতার সঙ্গে একাত্ম করে দেখাকে ভুল বলে মন্তব্য করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন প্রায় সবসময় সব ধর্মেই ছোট একটি মৌলবাদি গোষ্ঠী থাকে। আমাদেরও আছে।

রোববার (৩১ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। পোপ ফ্রান্সিস পাঁচদিনের এক সফর শেষে পোল্যান্ড থেকে রোমে ফেরার পথে এ সংবাদ সম্মেলন করছিলেন।

সামাজিক অসাম্য ও অর্থের প্রতি তীব্র আসক্তি সন্ত্রাসবাদের প্রধান কারণ বলে মন্তব্য তাঁর।  

তিনি বলেন, “আমি মনে করি সহিংসতার সঙ্গে ইসলামকে একাত্ম করে দেখা ঠিক নয়। এটা ঠিক নয় এবং এটা সত্যও নয়।”

২৬ জুলাই ফ্রান্সের পশ্চিমাঞ্চলে দুজন হামলাকারী ছুরি নিয়ে একটি গির্জায় হামলা চালায়। তারা ৮৫ বছর বয়সী এক রোমান ক্যাথলিক যাজককে হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য করে তারপর গলা কেটে হত্যা করে। তথাকথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করে। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফ্রান্সিস এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, “আমি মনে করি, প্রায় সবসময় সব ধর্মেই ছোট একটি মৌলবাদি গোষ্ঠী থাকে। আমাদেরও আছে।

“আমি ইসলামিক সহিংসতা নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি না, কারণ প্রতিদিন পত্রিকা খুলেই এখানে ইতালির সহিংসতার খবর দেখি, কেউ একজন তার বান্ধবীকে হত্যা করেছে, কেউ একজন শ্বাশুড়িকে হত্যা করেছে। এরা সবাই দিক্ষিত ক্যাথলিক।

“আমি যদি ইসলামিক সহিংসতা নিয়ে কথা বলি, ক্যাথলিক সহিংসতা নিয়েও আমাকে কথা বলতে হবে। সব মুসলমানরা সহিংস নয়।” সন্ত্রাসবাদের বহু ধরনের কারণ রয়েছে বলে জানান তিনি।

“আমি জানি এগুলো বলা বিপজ্জনক, কিন্তু সন্ত্রাসবাদ তখনই তৈরি হয় যখন আর কোনো উপায় থাকে না এবং অর্থ যখন খোদা হয়ে দাঁড়ায়, আর ব্যক্তির বদলে অর্থকেই যখন বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়।

“এটাই সন্ত্রাসবাদের প্রথম রূপ। সমস্ত মানবতার বিরুদ্ধে একটি মৌলিক সন্ত্রাসবাদ আছে। এবার এ বিষয়ে কথা বলা শুরু করা উচিত,” বলেন তিনি।

বুধবার পোল্যান্ডে যাওয়ার সময় যাজক হত্যা ও অন্যান্য সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবাদের ঘটনা নিয়ে কথা বলার সময় পোপ বলেছিলেন, “বিশ্ব যুদ্ধের মধ্যে আছে এগুলো তার প্রমাণ, কিন্তু এগুলো ধর্মের কারণে হয়নি।”

বিমানে থাকা সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ইউরোপের তরুণদের অর্থনৈতিক সুযোগের অভাবও সন্ত্রাসবাদের জন্য দায়ি।

তিনি বলেন, বেকার তরুণরা মদে ও মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে, তারপর আইএসআইএসে (আইএস) নাম লেখায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত