সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ জানুয়ারি, ২০১৭ ০৯:৩০

ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফরের বিরুদ্ধে বৃটিশদের পিটিশন সই

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্য সফরের আমন্ত্রণ বাতিল করতে একটি অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির ১০ লাখের বেশি বাসিন্দা। বিষয়টি নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনার জন্য যে পরিমাণ স্বাক্ষরের প্রয়োজন ছিল, তা ইতিমধ্যে পূরণ হয়ে গেছে। মঙ্গলবার এ নিয়ে এমপিরা আলোচনা করবেন।

কেবল সাধারণ মানুষই নন বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনও ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে দেওয়ার বিপক্ষে মত দিয়েছেন। মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাজ্যে প্রবেশ স্থগিত করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে হোয়াইট হাউস সফর করে ট্রাম্পকে রাষ্ট্রীয় সফরের আমন্ত্রণ জানানোর আগেই তাঁকে প্রবেশ করতে না দেওয়াসংক্রান্ত পিটিশনটি চালু করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র সফরে নিষেধাজ্ঞা জারির পর পিটিশনটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই নিষেধাজ্ঞা জারির পরই ১০ লাখ মানুষ অনলাইন পিটিশনটিতে স্বাক্ষর করেছেন। এটি বর্তমানে সরকারি ওয়েবসাইটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনপ্রিয় পিটিশন।

বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার দুপুর পর্যন্ত পিটিশনটিতে মাত্র ৬০ জনের স্বাক্ষর ছিল। কিন্তু রোববারের মাথায় তা এক লাখ অতিক্রম করে। যুক্তরাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী কোনো পিটিশনে ১ লাখের বেশি মানুষের স্বাক্ষর হলে তা পার্লামেন্টে আলোচনা করার জন্য গৃহীত হতে পারে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি লোক পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন। স্বাক্ষরকারীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়ছে।

এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ট্রাম্প নিজের ক্ষমতাবলে ব্রিটেনে আসতে পারেন। কিন্তু তাঁকে রানি এলিজাবেথের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফরে ব্রিটেনে আসতে দেওয়া উচিত নয়। কেননা, এটা রানির প্রতি অবমাননাকর হবে।

বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে ট্রাম্পের রাষ্ট্রীয় সফর বাতিল করার যে দাবি উঠেছে, লন্ডনে ডাউনিং স্ট্রিট তা খারিজ করে দিয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে, ট্রাম্পের আমন্ত্রণ বাতিল করা হলে তা হয়তো একটি ‘জনপ্রিয় পদক্ষেপ’ হবে, কিন্তু সেই আমন্ত্রণ ইতিমধ্যেই গৃহীত হয়েছে এবং এখন সেটা বাতিল করা হলে ‘সবকিছু নষ্ট হয়ে যাবে’।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে ট্রাম্পকে ব্রিটিশ রানির পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্য সফরের আমন্ত্রণ জানান থেরেসা মে। ট্রাম্প এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। ওই দিনই নির্বাহী আদেশে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ সাতটি দেশের নাগরিক ও শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেন ট্রাম্প। তাঁর এই সিদ্ধান্তে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ এবং বিরোধী লেবার পার্টির অনেক নেতাও এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত