ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

০২ ফেব্রুয়ারি , ২০১৭ ১৯:৫০

কুয়েতে নিষিদ্ধ ৫ মুসলিম দেশের নাগরিক

সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করে সমালোচিত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ কুয়েতও একই উদ্যোগ নিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে ৫টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের অভিবাসী হিসেবে কুয়েতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

কুয়েতের নিষিদ্ধের তালিকায় আছে সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, ইরান ও পাকিস্তানের নাম। এ ৫টি দেশের নাগরিকদের অভিবাসী হিসেবে কুয়েতের ভিসার জন্য আবেদন করতে নিষেধ করা হয়েছে। একইসাথে পর্যটক ও বাণিজ্য ভিসার ক্ষেত্রেও বিধি-নিষেধ আরোপিত হয়েছে। এসব দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদীরা অভিবাসী হিসেবে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কুয়েতের প্রশাসন।

এর আগে ২০১১ সালে কুয়েত প্রশাসনের নিষিদ্ধের তালিকায় নাম উঠেছিল সিরিয়ার। এবার মোট ৫টি মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিল কুয়েত। মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসবাদ ক্রমেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠায়, হামলার আশঙ্কা করছে কুয়েত। সবশেষ ২০১৫ সালে দেশটির একটি শিয়া মসজিদে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ২৭ জন কুয়েতি নাগরিক নিহত হন।

এদিকে কুয়েতে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত গোলাম দস্তগীর জানিয়েছেন, পাকিস্তানীদের কুয়েতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। ভিসা নিষিদ্ধের যে খবর রটেছে, তা ভিত্তিহীন।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনী প্রচারণা অনুয়ায়ী পরবর্তী ঘোষণার আগ পর্যন্ত শরণার্থী গ্রহণের প্রক্রিয়া পরবর্তী চার মাস পুরোপুরি বন্ধ রাখার আদেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মোট সাতটি মুসলিম প্রধান দেশ থেকে ভিসাপ্রাপ্তদের পরবর্তী তিন মাস যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ স্থগিত থাকবে। নিষেধাজ্ঞার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো হলো ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।

ট্রাম্প জানান, মার্কিন নাগরিকদেরকে সন্ত্রাসী হামলা থেকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সিরীয় শরণার্থীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে খ্রিস্টানদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে জানান তিনি। ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদের দূরে রাখতে অভিবাসন বিষয়ে ভবিষ্যতে নতুন পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তবে ট্রাম্পের এ উদ্যোগ বিশ্বব্যাপী তুমুল সমালোচিত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে মুসলিমরা হয়রানির শিকার হলে, হয়েছে বিক্ষোভও। মার্কিন ফেডারেল আদালত এ নির্বাহী আদেশের আংশিক স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেছে। সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস ও এনডিটিভি

আপনার মন্তব্য

আলোচিত