সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

১৪ জুন, ২০১৭ ১০:০২

যুক্তরাষ্ট্রে গৃহকর্মী নির্যাতন: জামিন পেলেন সেই বাংলাদেশি কূটনীতিক

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে গৃহকর্মী নির্যাতনে অভিযুক্ত বাংলাদেশি কূটনীতিক শাহেদুল ইসলাম মঙ্গলবার (১৩ জুন) রাতে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।

স্থানীয় সময় সোমবার সকালে তাকে আটক করা হয়। ৫০ হাজার ডলার বন্ডের বিনিময়ে তাকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

গ্রেপ্তার হওয়া কূটনীতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিউ ইয়র্কে তার বাসায় আরেক বাংলাদেশি নাগরিক মোহাম্মদ আমিনকে তিন বছরের বেশি সময় ধরে সহিংস নির্যাতন ও হুমকি দিয়ে বিনা বেতনে কাজ করতে বাধ্য করেছেন। কুইন্স কাউন্টির অ্যাটর্নির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত বিশদ বিবরণও রয়েছে।  শাহেদুল বাস করেন কুইনসের পাশেই জ্যামাইকা স্টেটে। তিনি ডেপুটি কনসাল জেনারেল অব বাংলাদেশ পদে নিযুক্ত রয়েছেন।

ওই শ্রমিক যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর পরই অভিযুক্ত শাহেদুল ইসলাম তার পাসপোর্ট কেড়ে নেন এবং তাকে দিয়ে দৈনিক ১৮ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করান বলেও অভিযোগ এসেছে।

ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি রিচার্ড এ ব্রাউন বিবৃতিতে বলেন, এই ধরনের অভিযোগ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। একজন কনস্যুলার তার বাড়িতে আরেকজনকে কাজে বাধ্য করতে শারীরিক জোর খাটিয়েছেন এবং হুমকি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রথমদিন থেকেই ওই কর্মীকে কাজে আটকে রাখার জন্য তার পাসপোর্ট নিয়ে নিয়েছেন। তাকে বেতন দিতে অস্বীকার করেছেন এবং অন্যদেশে থাকা তার পরিবারকে বিপদে ফেলার ভয় দেখান। এইসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিশ্চিতভাবেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তার জন্য শাস্তি পেতে হবে।

অভিযুক্ত কূটনীতিকের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে ১৫ বছরের জেল খাটতে হতে পারে। কনস্যুলেট কর্মকর্তারা বলেন, আইনি পদক্ষেপ মোকাবেলার জন্য তারা সবোর্চ্চ চেষ্টায় আছেন।

নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামিম আহসান বলেন, তারা মনে করেন অভিযোগকারী ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের আশায় এ ধরনের অভিযোগ করেছেন, যা সত্য নয়।

এদিকে নিউ ইয়র্কে কূটনীতিককে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কূটনীতিককে গ্রেপ্তারের ঘটনাটি কনস্যুলার সম্পর্ক বিষয়ক ১৯৬৩ সালের ভিয়েনা কনভেনশনের পরিষ্কার লঙ্ঘন।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের মে মাসে ওই কূটনীতিকের বাড়ি থেকে যখন গৃহকর্মী আমিন নিখোঁজ হয়, তখনই বিষয়টি স্টেট ডিপার্টমেন্টকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু গত ১৩ মাসে বিষয়টি নিয়ে এই কূটনীতিককে গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত কোন ধরণের অগ্রগতি জানানো হয়নি বাংলাদেশকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত