সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

১৭ জুন, ২০১৭ ১২:০১

লন্ডনে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে।

গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১টার এ আগুনের ঘটনায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা।

শুক্রবার লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের কমান্ডার স্টুয়ার্ট কান্ডি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছি আমরা।

এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা জানিয়ে কান্ডি বলেন, হাসপাতালে এখনও ২৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন।

লন্ডন পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেনেফেলের আগুনের নেপথ্যে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রয়েছে কি না তা বিবেচনাধীন রয়েছে।

এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে গ্রেনফেলে আগুনের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গ্রেনফেলের বেশিরভাগ বাসিন্দাই ছিলেন মুসলিম। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রথমেই মারা যান সিরীয় শরণার্থী মো. আলহাজালি (২৩)।

তাই অনেকের সন্দেহ, এটি কোনো ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ নাশতকা কি না। টেরেসা মে বলেন, মানুষ জানতে চায় আগুন এতো দ্রুত ভবনটিতে ছড়িয়ে পড়লো কেন?

কান্ডি জানান, সবার আগে যে মৃত দেহটি উদ্ধার করা হয় তা ছিল সিরীয় শরণার্থী মো. আল হাজালির। এরপর যে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের শরীর পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। চেনার কোনো উপায় নেই।

গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে বহুতল ভবনটির তিন তলায় প্রথম আগুন লাগে বলে জানিয়েছেন দমকল কর্মীরা।

মধ্যরাতের ওই সময়টায় অধিকাংশ বাসিন্দাই ঘুমিয়েছিলেন। ফলে আগুন লাগার বিষয়টি বুঝতেই খানিক সময় পেরিয়ে যায়। উপরন্তু ১২০টি ফ্ল্যাটের ওই আবাসনে আগুন লাগার পরে কোনো বিপদ সংকেত শুনতে পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন বাসিন্দাদের অনেকেই।

দমকল বাহিনীর কাছে খবর যাওয়ার ছয় মিনিটের মধ্যে তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু আগুন যে এত মারাত্মক চেহারা নেবে, ভাবতে পারেননি দমকলের লোকজনও

আপনার মন্তব্য

আলোচিত