সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ জুলাই, ২০১৭ ১৬:২৬

দুর্নীতির তদন্তের মুখে পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী

পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে আদালতে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণার পর পদত্যাগ করা নওয়াজ শরিফের পর অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন শহীদ খাকান আব্বাসি। কিন্তু পদ নিতে না নিতেই তার বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে ২২০ বিলিয়ন রুপির দুর্নীতির তদন্ত। তদন্ত করছে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)।

তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির চুক্তি প্রদান বিষয়ে ২০১৫ সালে এনএবি’র করা একটি মামলায় প্রধান অভিযুক্ত সাবেক পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী খাকান আব্বাসি।

এনএবি’র কাগজপত্রে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে এলএনজি আমদানি ও সরবরাহের ওই কন্ট্রাক্ট দেয়া হয়েছিল এংগ্রোর সহপ্রতিষ্ঠান এলেঙ্গি টার্মিনালকে। প্রতিষ্ঠানটিকে ওই দায়িত্ব দেয়া ছিল পাকিস্তানের ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রেগুলেটরি অথরিটি’ বিষয়ক আইন ও নীতিমালা পরিপন্থি।

২০১৫ সালের ২৯ জুলাই মামলা হলেও এখনও সেটা তদন্ত পর্যায়েই রয়ে গেছে বলে জানায় দ্যা ডন। এমামলার অন্য আসামীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক পেট্রোলিয়াম সচিব আবিদ সাইদ, ইন্টার স্টেট গ্যাস সিস্টেমস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোবিন সাউলুত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এংগ্রো’র নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরানুল হক এবং সুই সাউদার্ন গ্যাস কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুহাইর আহমেদ সিদ্দিকি।

নওয়াজ শরিফের পদত্যাগের পর ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং নওয়াজের ভাই শাহবাজ শরিফকে সরকারের বাকি মেয়াদের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করে। ১ আগস্ট এ ব্যাপারে পার্লামেন্টে ভোটগ্রহণ হবে।

তবে নতুন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা গ্রহণের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আব্বাসিকে প্রধানমন্ত্রীর আসন সামলানোর দায়িত্ব দেয় পিএমএল-এন। মঙ্গলবারের ভোটাভুটিতে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। কিন্তু তার আগেই আব্বাসিকে নিয়ে তদন্ত শুরু হলো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত