সিলেটটুডে অনলাইন ডেস্ক

০১ আগস্ট, ২০১৭ ১১:৪৯

এপিজে আব্দুল কালামের মূর্তির পাশে ধর্মগ্রন্থ রাখা নিয়ে বিতর্ক

গত সপ্তাহে ভারতের  প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের গ্রাম পেইকারাম্বুতে এক স্মারক ভবনের উদ্বোধন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

দিন কয়েক কাটতে না কাটতেই বিতর্কে সেই স্মারক ভবন। আরও স্পষ্ট করে বললে, বিতর্কের মূলে ভবনের ভিতর রাখা বীণাবাদনরত কালামের একটি মূর্তি ও তার পাশে থাকা কাঠের তৈরি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ‘ভাগবত গীতা’।

কেন কালামের মূর্তির পাশে শুধু গীতা রাখা হয়েছে,তা নিয়ে প্রথম প্রশ্ন তোলেন তামিলনাড়ুর এমডিএমকে নেতা ভাইকো।  তার অভিযোগ, কালামের মূর্তিকেও ধর্মের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। যা কোনওভাবেই কাম্য নয়। পরে সরব হন আরও অনেকে।

সমালোচকদের দাবি ছিল, প্রাচীন তামিল মহাগ্রন্থ থিরুক্কুরাল কালামের অত্যন্ত প্রিয় ছিল। অনেক সময় এই বই থেকে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল কালামকে। সে জন্য সমালোচকরা  দাবি করে ছিলেন,অন্ততপক্ষে ওই বইটি রাখা যেতে পারত।

তৎপর হয় কালামের পরিবারও। তার ভাইপো শেখ সালিম এই মূর্তি যারা স্থাপন করেছে,সেই কালাম মেমোরিয়াল প্রজেক্টের প্রধান, ডিআরডিওর কর্নেল বিশ্বজিৎ চৌবের দ্বারস্থ হন।

তার বিতর্ক থামাতে যোগ হল কোরান ও বাইবেল। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামের মূর্তির পাশে মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মগ্রন্থ রেখে এমনটাই আরজি জানাল ‘মিসাইল ম্যানে’র পরিবার।

বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পন রাধাকৃষ্ণাণ বলেন, 'কালাম সব ধর্মের ঊর্ধ্বে। তার মূর্তির পাশে রাখা গীতা নিয়ে এই বিতর্ক খুবই দুর্ভাগ্যজনক।'

কিন্তু, বিতর্ক থামেনি। এর পর বিষয়টি নিয়ে সরব হয় স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। শেষ পর্যন্ত তাদের চাপে সরিয়ে নেওয়া হয় বাইবেল ও কোরান।

১৯৩১ সালে তামিলনাড়ু রাজ্য জন্ম নেওয়া এ পি জে আবদুল কালাম আজাদ ২০০২ সালে থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে আসীন ছিলেন। ২০১৫ সালর ২৭ জুলাই এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন বিশিষ্ট এই পরমাণু বিজ্ঞানী। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

তথ্যসূত্র : আনন্দবাজার অনলাইন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত