আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১২:২৯

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন স্থগিত হয়নি সুপ্রিম কোর্টে

সম্প্রতি ভারতের সংসদে পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ভারতকে বিক্ষোভে উত্তাল করে রেখেছে। কেন্দ্র সরকারের অধীনে পাস হওয়া এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ৬০টি পিটিশন দায়ের করা হয়।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ওই পিটিশন আবেদনগুলোর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ওই পিটিশন দায়েরকারীদের মধ্যে রয়েছেন সিনিয়র কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ এবং আসামে বিজেপির জোটসঙ্গী আসাম গণ পরিষদ।

তবে এই আইন স্থগিত করেনি সুপ্রিম কোর্ট। আগামী জানুয়ারির ২২ তারিখের মধ্যে সরকারি কর্তৃপক্ষকে আদালতে উপস্থিত হয়ে এই আইন সংবিধানের কোন কোন অংশের সাথে সাংঘর্ষিক তা উল্লেখ করার জন্য বলা হয়েছে।

ভারতের প্রধান বিচারপতি এসএ বোদবের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ ওই পিটিশন শুনানিতে অংশ নিয়েছেন।

এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে ২০১৪ সালের পর থেকে মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে ভারতে এসে আশ্রয় নেওয়া অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরা (হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্ট, শিখ) আবেদন করার স্বল্পতম সময়ের মধ্যে নাগরিক হওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন।

এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে রিটকারীরা উল্লেখ করেছেন, এই আইনের মাধ্যমে ভারত রাষ্ট্রের মূল চরিত্র ধর্মনিরপেক্ষতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান রাষ্ট্র হিসেবে ভারতকে কলুষিত করেছে। সরকারের উচিত হবে সকল ধর্ম ও বিশ্বাসের জনগণকে একই নজরে দেখা।

প্রসঙ্গত, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি ওই আইনে চূড়ান্ত স্বাক্ষর করার পর থেকেই ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। আসামে চলমান বিক্ষোভে ইতিমধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। ক্রমেই বিক্ষোভ ভারতের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ছে। ভারতের তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবাংলার মমতা বন্দোপাধ্যায়, কেরালার পিনারায়ি বিজায়ান এবং পাঞ্জাবের অমরিন্দর সিং স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন তারা তাদের রাষ্ট্রে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) প্রয়োগ করতে দেবেন না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত