আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৯ জানুয়ারি, ২০২০ ১২:০১

যুক্তরাষ্ট্রকে ব্ল্যাক বক্স না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইরানের

ইরানে ১৮০ যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কিংবা যুক্তরাষ্ট্রকে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেহরান।

বৃহস্পতিবার তারা জানায়, বিমানের ব্ল্যাক বক্স রেকর্ডার নির্মাতা বা যুক্তরাষ্ট্রকে দেবে না তারা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

৮ জানুয়ারি বুধবার সকালে তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উদ্দেশে উড্ডয়নের পরপরই তা বিধ্বস্ত হয়। ১৮০ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত বিমানটির কোনও আরোহী বেঁচে নেই বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

বিধ্বস্তের পর ঘটনা অনুসন্ধানে গিয়ে ব্ল্যাকবক্স পায় ইরান। এরপর থেকেই সেটা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায় তারা। বৈশ্বিক বিমান চলাচল আইন অনুযায়ী ইরানের এই তদন্তের নেতৃত্ব দেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে। তবে সাধারণথ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এই তদন্তে যুক্ত থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের খুব অল্প কিছু দেশই ব্ল্যাক বক্স বিশ্লেষণের ব্যাপারে দক্ষ।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে পারান্দ শহরে বোয়িং-৭৩৭ মডেলের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেহরানের বিদ্যমান উত্তেজনার মধ্যে এ দুর্ঘটনা নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত বোয়িং সক্রান্ত তদন্তে মার্কিন জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড যুক্ত থাকে। কিন্ত বিদেশে ঘটনার ক্ষেত্রে অবশ্য সংশ্লিষ্ট দেশের অনুমতি লাগবে। ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার প্রধান আলি আবেদজাদেহ বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র কিংবা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে ব্ল্যাক বক্স দেবো না। এই দুর্ঘটনা ইরান তদন্ত করবে, তব ইউক্রেন চাইলে উপস্থিত থাকতে পারবে।

কোন দেশ এই ব্ল্যাকবক্স বিশ্লেষণ করবে তা স্পষ্ট করে বলেননি আবেদজাহ। বোয়িং জানিয়েছে তারা যেকোনও প্রয়োজনে সহায়তা করতে প্রস্তুত। আর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, তারা এই তদন্তে সহায়তা করতে চান এবং কারিগরি সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।

ব্ল্যাক বক্স হচ্ছে এমন একটি ডিভাইস যেখানে ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডিং ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং সংরক্ষিত থাকে। ককপিট ভয়েস রেকর্ডার অংশে বিমান চালকের কক্ষের সকল অডিও/কথাবার্তা রেকর্ড হয়। এতে করে পাইলট ও অন্যান্য ক্রুর কথাবার্তা ও আলোচনা শুনতে পাওয়া যায়, যা থেকে শেষ মুহূর্তের সমস্যাগুলো সম্পর্কে ধারণা করা সম্ভব। এছাড়া ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার অংশে বিমানের টেকনিক্যাল বিভিন্ন তথ্য যেমন প্লেনের গতি, বাতাসের গতি, বিমান কত উঁচুতে উড়ছে, জ্বালানি প্রবাহ, চাকার গতিবিধি সংরক্ষিত থাকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত