সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ১০:৫০

গ্রিসে নির্বাচন: বামে আস্থা গ্রিকদের

গ্রীসের সাধারণ নির্বাচনে জয় পেয়ে আবারো ক্ষমতায় ফিরে এসেছে অ্যালেক্সি সিপ্রাসের নেতৃত্বাধীন বামপন্থী সিরিজা পার্টি।

রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় বছরের তৃতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে তা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। এরপর শুরু হয় গণনা।

দেশটির নির্বাচন কমিশন সূত্রের বরাত দিয়ে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, ভোট গণনায় দেখা যাচ্ছে, মোট গণনা হওয়া ৯৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ ভোটের মধ্যে ৩৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে সিরিজা পার্টি।

এর ফলে স্থানীয় বিধান অনুযায়ী, ৩০০ আসনের গ্রিক সংসদে ১৪৫ আসন নিশ্চিত হয়ে গেছে সিরিজার। আর ২৮ শতাংশের মতো ভোট পেয়েছে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রক্ষণশীল নিউ ডেমোক্রেসি।

এছাড়া, ৭ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ডানপন্থি গোল্ডেন ডন।

নির্বাচনে ৬০ শতাংশ ভোট গণনার পরই অবস্থান বুঝে পরাজয় স্বীকার করে নিউ ডেমোক্রেসি।
এদিকে  সিপ্রাস এই বিজয়কে ‘জনতার জয়’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। জনতা কি বলছে?

এথেন্সের রাস্তায় মার্গারিটা নামে একজন বলেন, "আমি ভীষণ চাপের মাঝে রয়েছি। কারণ আমি বেকার।কিন্তু আমি জানি যে, মিস্টার সিপ্রাস এবং তার দল আমার মত মানুষদে জন্য কিছু করবে। এখন আমি কিছু প্রত্যাশা করতে পারি বলে মনে হচ্ছে"।

কোস্টাস পাপাজিয়ানোপোলাস নামে আরেকজন গ্রীক নাগরিক বলছেন, "একটিমাত্র রাজনৈতিক দলই আছে যার কাছ থেকে কিছু আশা করতে পারি। আর সেটি হচ্ছে সিরিজা পার্টি"।

তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে থাকা গ্রিসের জনগণ গত ছয় বছরে ৫ম বারের মতো সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিল।

গ্রিসে গত ৬ বছরের মধ্যে চারটি নির্বাচন হয়ে গেছে, রবিবারের (২০ সেপ্টেম্বর) পঞ্চম। এমন এক সময় এই ভোট হচ্ছে যখন গ্রিস এক সংকটকাল অতিক্রম করছে।

তাদের সংকটাপন্ন অর্থনীতিকে টেনে তুলতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে- তারই শর্ত হিসেবে একটা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে গ্রিসকে সরকারি ব্যয়সংকোচনের লক্ষ্য পূরণ করতে হচ্ছে।

কিন্তু দাতাদের শর্ত মেনে ওই সহায়তা নেবার পর থেকেই সিপ্রাসের জনপ্রিয়তা নাটকীয়ভাবে কমতে শুরু করে। কারণ জানুয়ারি মাসে মি সিপ্রাস যখন নির্বাচনে জেতেন তখন তার এজেন্ডাই ছিল নতুন কোন ব্যয়সংকোচনের শর্ত তারা মানবেন না।

কিন্তু ক্ষমতায় এসে চরম আর্থিক সংকটের মুখে উল্টোটিই তাকে করতে হয়েছে।এই কারণে তার অনেক এমপি বিদ্রোহ করেছেন।

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে একই রকম উদ্বেগ কাজ করছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যেও। কারণ তাদের দেয়া অর্থসাহায্যের শর্ত হিসেবে যেসব মৌলিক অর্থনৈতিক সংস্কার করার কথা ছিল তা সম্পন্ন করার সময়সীমা শেষ হতে আর বেশি সময় বাকি নেই।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত