নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ১৪:৪৫

মিনায় ‘শয়তান স্তম্ভে’ পাথর ছুঁড়তে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ৭১৭ হাজির মৃত্যু

ইসলাম ধর্মের পবিত্র হজ্ব পালনের ঈদের দিন হজের আনুষ্ঠানিকতার শেষ সময়ে সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে  আরও একহাজার হাজি।

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) মিনায় ‘শয়তান স্তম্ভে’ পাথর ছোড়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে সৌদি সিভিল ডিফেন্সের বরাত দিয়ে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

সংবাদে জানানো হয়, হুড়োহুড়ি শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সৌদি সিভিল ডিফেন্সও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হাজিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে তাদের কর্মীবাহিনী।

এদিকে হতাহতদের মধ্যদের এখনও পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট। সৌদি আরবের সংবাদ মাধ্যমের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের ১৫০টি দেশের প্রায় ২০ লাখের বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবার হজ করছেন, যাদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা এক লাখের বেশি।

ইসলামী রীতি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার তারা আরাফাতের ময়দানে সমবেত হয়ে দিনভর ইবাদত করেন এবং হজের খুতবা শোনেন।  আরাফাত থেকে মিনায় ফেরার পথে মুজদালিফায় মাগরিব ও এশার নামাজ পড়ে তারা পাথর সংগ্রহ করেন, যা মিনার জামারায় শয়তানকে (প্রতীকী) উদ্দেশ্য করে ছোড়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ফজরের নামাজ শেষে মুসল্লিরা মিনায় ফিরে জোহরের নামাজ আদায় করেন এরপর শয়তানকে পাথর ছোড়ার পর্ব শেষ করে তারা কোরবানি দেন।

কোরবানি শেষে ইহরাম ত্যাগ করে কাবা শরিফকে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় হজের আনুষ্ঠানিকতা। মিনায় শয়তানকে প্রতীকী পাথর ছোড়ার আনুষ্ঠানিকতা পালনের সময় বিপুল সংখ্যক মানুষের চাপে এর আগেও পদদলনের ঘটনা ঘটেছে। ২০০৬ সালে এমনই এক ঘটনায় ৩৪৫ জনের মৃত্যুর হয়।

আর চলতি হজ মওসুম শুরুর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর মক্কার মসজিদ আল-হারামের সম্প্রসারণ কাজে থাকা একটি ক্রেইন উল্টে পড়লে ১১৭ জনের মৃত্যু হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত