সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ১৪:০২

মিনা ট্রাজেডি : জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত দাবি ইরানের

সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে ৭ শতাধিক হাজির মৃত্যুর ঘটনায় জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত দাবি করেছে ইরান।

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ভাষণে এ দাবি করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। খবর: বিবিসির।

রুহানি মিনার এ ঘটনাকে হৃদয় বিদারক হিসেবে অভিহিত করেন।

মিনার ওই ঘটনায় শনিবার পর্যন্ত সৌদি সরকারের হিসাবে মৃত ৭৩০ জনের মধ্যে ইরানের ১৩০ হাজি রয়েছেন।

এদিকে, মিনায় পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ২ হাজার দাবি করে সঠিক তালিকা প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে ইরান। তবে সৌদি আরব বলেছে, এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৭৩০ জন, আহত ৮শ’রও বেশি।

প্রথমে ইরানের বার্তা সংস্থা এফএনএ মিনায় নিহত হাজির সংখ্যা ১৩’শ দাবি করলেও পরে ইরান সরকারের পক্ষ থেকে নিহতের সংখ্যা দুই হাজার দাবি করা হয়। পাশাপাশি নিহতদের পূর্ণাঙ্গ ও সঠিক তালিকা প্রকাশের জন্য সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

শুক্রবার এফএনএন জানায়, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদের বিশাল নিরাপত্তা বহরে সেনা ও পুলিশসহ সাড়ে ৩শ’র বেশি নিরাপত্তাকর্মী ছিলো। যারা শয়তানের দিকে পাথর মারতে যাওয়া হাজিদের সরিয়ে দিয়ে রাস্তা করে যুবরাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো। তাদের ধাক্কাধাক্কিতেই হাজিরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, যুবরাজের সুবিধা ও নিরাপত্তার জন্য পাথর ছুঁড়তে যাওয়ার ৫টি পথের মধ্যে দুটো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে অন্য পথগুলোতে ভিড় বেড়ে যায়।

বৃহস্পতিবার মিনায় পাথর নিক্ষেপের সময় পদদলিত হয়ে ৭৩০ জনের মৃত্যুর খবর সৌদি সরকার নিশ্চিত করলেও, পরে মক্কার কিং আব্দুল আজিজ হাসপাতাল, কিং ফয়সাল হাসপাতাল এবং আল নূর হাসপাতালে আহতদের মধ্যে আরও ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

মিনা ট্রাজেডিতে নিহতদের প্রতি সৌদি কর্তৃপক্ষের বিরূপ আচরণের সমালোচনাও করেছে ইরান। ইরান সরকার ও মিডিয়ার এসব সমালোচনার পর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ভাষণে জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত দাবি করেন ইরানের এ প্রেসিডেন্ট।

হজে আগতদের নিরাপত্তা নিয়ে সৌদি ‍আরব কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের তীব্র সমালোচনা করেছে ইরান ও কয়েকটি দেশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত