সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ২৩:৩৭

মা সম্পর্কে মোদির বক্তব্য সত্য নয়, দাবি কংগ্রেসের

মায়ের কথা বলতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেসবুক অফিসে নরেন্দ্র মোদির কেঁদে ফেলার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই কংগ্রেস বলল, মোদি-পরিবার সচ্ছল ছিল না হয়তো, কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে মোদির মাকে অন্যের বাড়ির বাসন মাজতে হতো।

কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা সোমবার রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বলেন, ‘আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখেছি, নিজের মা সম্পর্কে মোদি যা বলেছেন তা সত্য নয়।’

যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ফেসবুক অফিসে রোববার নিজের শৈশব-কৈশোরের আর্থিক দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর মায়ের কঠোর পরিশ্রমের প্রসঙ্গ টানেন। তিনি বলেন, সংসার চালাতে মাকে অন্যের বাড়ির বাসন মাজতে হতো। বলতে বলতে মোদি কেঁদে ফেলেন।

সেই প্রসঙ্গ টেনে আনন্দ শর্মা বলেন, ‘মোদির বাবা একটা ক্যানটিন চালাতেন। কিন্তু মোদি কবে চা বিক্রি করলেন? মা অন্যের বাড়ি বাসন মাজতেন বলে মোদি যা বলেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ কথা বলে তিনি নিজের মাকেই অসম্মান করেছেন।’

প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে আনন্দ শর্মা বলেন, মোদি আদ্যন্ত নিজেকে নিয়ে আচ্ছন্ন। অন্যদের কথা তিনি ভাবতেই পারেন না। সারাক্ষণ তিনি শুধু ‘আমি-আমি’ করে চলেছেন। পৃথিবীর আর কোনো নেতা এভাবে নিজেকে তুলে ধরেন না। নিজের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি মাকে নিয়ে আসেননি। অথচ এখন ‘মা মা’ করে কাঁদছেন। কান্নাকাটি না করে ওঁর উচিত আরও দায়িত্বশীল হওয়া।

কংগ্রেসের এই ধরনের প্রতিক্রিয়ার কারণও অবশ্য মোদি। সফরকালে কংগ্রেসের শীর্ষ পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির প্রসঙ্গে কারও নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে টেনে এনেছেন, এতেই ক্ষিপ্ত কংগ্রেস। মোদি বলেন, ‘আমাদের দেশে রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে মোটেই সময় লাগে না। কেউ নাকি ৫০ কোটি কামিয়েছেন, কারও ছেলে ২৫০ কোটি, কারও মেয়ে ৫০০ কোটি, কারও জামাই হাজার কোটি! এই দেশের মানুষ কম দুর্নীতিতে জেরবার নয়? ক্ষুব্ধ নয়?’

শ্রোতাদের উদ্দেশে মোদির প্রশ্ন, ‘এই যে আমি দাঁড়িয়ে আছি, বলুন আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আছে? ১৬ মাস কেটে গেছে। আজ আমি আপনাদের সার্টিফিকেট চাই। বলুন আমি প্রতিশ্রুতি রাখতে পেরেছি কি না, দিবারাত্র পরিশ্রম করছি কি না?’

রাহুল গান্ধীকে নিয়ে তোলা বিজেপির প্রশ্নের জবাবও কংগ্রেস সোমবার দিয়েছে। দিনকয়েক আগে কংগ্রেস সহসভাপতি হঠাৎ লন্ডন পাড়ি দেন। সে নিয়ে বিজেপি ফের তাঁর অজ্ঞাতবাসের প্রসঙ্গ তুলেছিল। দু দিন পর কংগ্রেস জানায়, রাহুল এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছেন। সোমবার রাহুলের অফিস থেকে তাঁর কয়েকটি ছবি টুইট করা হয়। ছবি গুলির একটিতে দেখা যাচ্ছে রাহুল সম্মেলনে ভাষণ শুনছেন, অন্যটিতে আইসল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। রাহুলের অফিস থেকে জানানো হয়, শিগগিরই তিনি দেশে ফিরবেন এবং বিহারে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত