সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ এপ্রিল, ২০২০ ১৩:৩০

উধাও হওয়ার বাপ-দাদার অভ্যাস কিমেরও

দুই সপ্তাহ ধরে লোকচক্ষুর অন্তরালে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। এই সময়ে সারাবিশ্বের গণমাধ্যমগুলো কখনও বলছে, কিম ভয়ানক অসুস্থ, কেউ বলছেন, কিম নেই, মারা গেছেন। কেউবা বলছেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারী করোনা ভাইরাসের কবল থেকে রক্ষা পেতে আত্মগোপনে রয়েছেন কিম।

তবে গুজব যাই হোক, সত্যিই দুই সপ্তাহ ধরে খোঁজ নেই এই ক্ষমতাধর নেতার। এমনকি দেশের সবচেয়ে বড় উৎসবের দিন উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুংয়ের জন্মোৎসব ‘ডে অব সান’ অনুষ্ঠানেও দেখা যায়নি কিমকে। এর আগে ১১ এপ্রিল শেষবার দেখা গেছে ক্ষমতাসিন পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে।

তবে এভাবে কিম শুধু একাই নিখোঁজ হননি, উত্তর কোরিয়ার বর্তমান এই নেতার মতো 'নিখোঁজ' হওয়ার ইতিহাস রয়েছে তার বাপ-দাদা পূর্বসূরিদেরও। খবর সাঊথ চায়না মর্নিং পোস্টের

বিজ্ঞাপন

কিম ইল সুং : উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুং ১৯৯৪ সালে মারা যাওয়ার আগে কয়েকবার তার মৃত্যুর গুজব উঠেছে। খবর প্রকাশ হয়েছে নিঁখোজ হওয়ার। ১৯৫০ সালের জুনে হঠাৎ করেই সুংয়ের সেনাবাহিনী দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রমণ করে বসে। তিন বছরের ওই যুদ্ধে কয়েক লাখ মানুষ প্রাণ হারান। তবে শেষ পর্যন্ত ওই যুদ্ধে হার হয় সুংয়ের। এরপর অনেকদিন তার খবর পৌঁছেনি বাইরের দুনিয়ায়। হঠাৎ করেই ১৯৮৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম খবর দেয়, সুং আর নেই । ওই বছরের নভেম্বরে জাপানের একটি পত্রিকাও খবর দেয়, সুং আততায়ীর গুলিতে প্রাণ দিয়েছেন। সে সময় সীমান্তে বসানো লাউডস্পিকারেও নাকি তার মৃত্যুর খবর বলা হয়েছিল। ১৭ নভেম্বর চোসান পত্রিকা তার মৃত্যুর খবর দিয়ে অতিরিক্ত সাতপাতা নিউজ ছাপে। তবে পরদিন ১৮ তারিখ পিয়ংইয়ংয়ে মঙ্গোলিয়ার নেতাদের বরণ করতে দেখা যায় সুংকে।

কিম জং ইল: বর্তমান নেতা কিমের দাদার মতো তার বাবাও কয়েকবার নিখোঁজ হয়েছেন, মারাও গেছেন কয়েকবার। ২০০৪ সালে পিয়ংইয়ং রেলস্টেশনে বোমা হামলা হয়। খবর ছড়িয়ে পড়ে ইল বেইজিং থেকে ফেরার পথে বোমা হামলায় মারা গেছেন। ২০০৮ সালে স্ট্রোক করার পরও তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে ২০১১ সালের ডিসেম্বরে মারা যাওয়ার আগে কয়েকবছর তিনি অজ্ঞাতস্থানে ছিলেন। তার মৃত্যুর দুইদিন পর খবর প্রকাশ করে উত্তর কোরিয়া।

এখন তার ছেলে কিম জং উনের যে হদিশ নেই, নানা গুজবের পর হয়তো আবারও দেখা যেতে পারে তাকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত